মনিপুরা গ্রামের রিংকি রাণি বর্মণ তাঁর ৭ বছর বয়সি মেয়ে রাত্রিকে নিয়ে এসেছেন সাদত স্মৃতি পল্লীতে। রাত্রি অসুস্থ্য। তার কিছুদিন পরপর ঠাণ্ডা লাগে, জ্বর থাকে না। তবে প্রচণ্ড কাশি হয়। কাশি দিলে বুকের ভেতর আওয়াজ হয়। কাশি সহজে ভাল হয় না।
রিংকি রাণি বলেন,‘ আমার মাইয়ারে ছোট বেলায় একবার ঠাণ্ডার লাগি গ্যাস দিছিলাম। এরপর থেইকা এইহানেই (সাদত স্মৃতি পল্লী) ডাক্তার দেখাই। আমনেরা যেই ওষুধ দেন আর ডাক্তাররা যেই ওষুধ লেইখা দেয় ইতানেই ভাল অয়ে যায়। আমার পোলারেও এনেই ডাক্তার দেহাই।’
হাইরমারা কান্দাপাড়া গ্রামের ৫০ বছর বয়সি আব্দুল হাই এসেছেন ডাক্তার দেখাতে। পস্রাব কম হয়, শরীর দুর্বল লাগে, মাথা ঘোরে। অনেক ঔষধ খেয়েছেন কোনো কাজ হয়নি। দুই বছর যাবৎ তার এই সমস্যা।
আব্দুল হাই বলেন, ‘হুনছি এহানে ভালা ডাক্তার আয়ে, ওষুধও পাওয়া যায়। এ জন্যেই আইছি ডাক্তার দেহাইতাম।’
প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে এসেছিলেন তাঁরা। সেখানেই কথা হয় তাঁদের সঙ্গে। গত ১৩ নভেম্বর বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে ছিলেন প্রকল্পের নিয়মিত চিকিৎসক ডা. মাহমুদুল কবির আরিফ । তিনি ওইদনি ৩৬ জন রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন।
শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত সহায়তায় প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।