সানিয়ার স্বপ্নজগত গড়তে সহায়তা করছে সাদত স্মৃতি পল্লী

সানিয়া। সাদত স্মৃতি পল্লী শিশু বিকাশ কেন্দ্রের শিক্ষার্থী।

রং-পেনসিল পেলেই আঁকতে বসে যায় সানিয়া। পরিচিত গানের সুরে নেচে ওঠে নিজে নিজেই। প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি মনের খুশি আর খেয়ালে বিকশিত হচ্ছে সে। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দড়ি হাইরমারা গ্রামে বাস করেও সানিয়ার এই স্বপ্নজগত গড়তে সহায়তা করছে সাদত স্মৃতি পল্লী। ২০১৫ সাল থেকে গ্রাম উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সাদত স্মৃতি পল্লীতে শিশু বিকাশ কেন্দ্রের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে শিশু বিকাশ কেন্দ্রে নাচ, গান, ছবি আঁকা, আবৃত্তি ও অভিনয় শিক্ষার ক্লাস নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়।

সানিয়ার বয়স নয় বছর। সে স্থানীয় দড়ি হাইরমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সানিয়া বলে, আমি রং ভালোবাসি। রঙিন ছবি আঁকার পেন্সিল এখানে আছে। আমি আমার ইচ্ছামত আঁকি। ছড়া পড়তে ও গল্প শুনতেও আমার খুব ভালোলাগে।’

সনিয়ার বাবা সাইফুল ইসলাম পেশায় রাজমিস্ত্রী, প্রবাসে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সনিয়ার মা কামরুন নাহার বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানটি আমাদের গ্রামের উন্নয়নে নিয়মিত কাজ করছে। এখান থেকে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়, নারীরা বিনামূল্যে সেলাইয়ের কাজ শেখে। আমরা গ্রামবাসী এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি কৃতজ্ঞ।’  

উল্লেখ্য, সাদত স্মৃতি পল্লী থেকে নিয়মিতভাবে গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য সপ্তাহে তিন দিন তিনজন চিকিৎসক দ্বারা বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। ৬৯ জন বয়স্ক ব্যক্তিকে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। কিশোরী মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ, শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে সাদত স্মতি পল্লী। শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় সাদত স্মৃতি প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।