সাদত স্মৃতি পল্লীর নিয়মিত শিক্ষার্থী রুবাইয়া আক্তার। রুবাইয়া বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হতে চায়। সে দড়ি হাইরমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা শরিফুল ইসলাম একজন ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ি। রুবাইয়া সাদত স্মৃতি পল্লীর শিশু বিকাশ কেন্দ্রের একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী। সে তিন বছর যাবৎ শিশু বিকাশ কেন্দ্রে আসে। শিশু বিকাশ কেন্দ্রে তার সব চেয়ে প্রিয় বিষয় নাচ ও ছবি আঁকা। এছাড়াও কবিতা আবৃত্তি ও গান করতে তার ভাল লাগে।
দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে রুবাইয়া সবার ছোট। কেন পুলিশ অফিসার হতে চাও এমন প্রশ্নের উত্তরে রুবাইয়া জানায়, ' একজন সৎ পুলিশ অফিসার হয়ে সে সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে চায়। যারা অসৎ পথে চলবে ও অন্যায় কাজ করবে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে অন্যায়কারীকে কঠিন শাস্তি দিতে চায় যাতে কেউ অন্যায় করতে সাহস না পায়।' সে আরও জানায়, পুলিশ অফিসার হওয়ার জন্য সে ভালভাবে পড়ালেখা করছে। যাতে সে তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তার বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, রুবাইয়া পুলিশ অফিসার হয়ে দেশের সেবা করতে চায়। তার এই স্বপ্ন পূরণের জন্য আমরা সব সময় তার পাশে আছি। আমরাও চাই সে একজন ভাল মানুষ হোক। সেই সাথে সৎ পুলিশ অফিসার হয়ে দেশের কাজে লাগুক।
রুবাইয়ার মতো এমন আরো প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়মিত শিশু বিকাশ কেন্দ্রে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণের জন্য আসে। শিশু-বিকাশ কেন্দ্রে মূলত শিশুদের মানসিক বিকাশ ও তাদের মননের উৎকর্ষের জন্য বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়া শিশুদের মেধা ও মননকে বিকশিত করতে ছবি আঁকা, নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি ও অভিনয় শেখানো হয়। শিশুদের শারীরিক গঠন ও পরিচর্যার জন্য রয়েছে একটি শিশু পার্ক। যেখানে শুধুমাত্র সোমবার ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্কটি শিশুদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।