শিশুদের সৃজনশীল বিকাশে ভূমিকা রাখছে সাদত স্মৃতি পল্লী
দড়ি হাইরমারা মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষা সুবিধা বঞ্চিত একটি গ্রাম। এই গ্রামের শিশুরা খেলা-ধুলা ও বিনোদনমুলক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিলো। সাদত স্মৃতি পল্লী সেই শিশুদেরকে নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষামুলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে । শিশুদের সৃজনশীল বিকাশে ভূমিকা রাখছে সাদত স্মৃতি পল্লী। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দড়ি হাইরমারা গ্রামে সাদত স্মৃতি পল্লী অবস্থিত।
গত ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয় শিশুদের নৈতিকতা শিক্ষার ক্লাস। ক্লাসে শিক্ষক শিশুদের আচার - আচরণ, বড়দের সাথে সম্মান দিয়ে কথা বলা, ছোটদের স্নেহ করার পাশাপাশি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পরামর্শ প্রদান করেন। এরপর ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হয় ছবি আঁকার ক্লাস, নাচের ক্লাস ও গানের ক্লাস। ছবি আঁকার ক্লাসে শিশুদের কখনো বিষয় ঠিক করে দেওয়া হয়, কখনোবা শিশুদের ইচ্ছে মতো আঁকতে দেওয়া হয়। আঁকার প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ প্রকল্প থেকে সরবরাহ করা হয়। নৃত্যের ক্লাসে শিক্ষিকা প্রথমে নাচের বিভিন্ন মুদ্রা নিয়ে আলোচনা করেন ও মুদ্রাগুলো ক্লাসে অনুশীলন করান। পরে নাচের কোন অংশে কোন মুদ্রা যোগ করতে হবে শিক্ষার্থীদের তা বুঝিয়ে দেন।
নৃত্য শিক্ষিকা রাহিমা আক্তার বলেন- ‘নৃত্যের ক্ষেত্রে মুদ্রা শিখাটা জরুরি। শিশুরা আগের চেয়ে এখন ভাল করছে। শিক্ষার্থীদের মুদ্রাগুলি শিখাচ্ছি। মুদ্রাগুলি রপ্ত হলে সহজেই নৃত্য করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।’
নাচের ক্লাসের পরেই শুরু হয় গানের ক্লাস। গানের ক্লাসে প্রথমে শিশুদের বিভিন্ন সারগাম অনুশীলন করানো হয়। পরে শিক্ষার্থীদের দিয়ে গান অনুশীলন করানো হয়। ক্লাসের শেষে শিক্ষার্থীদের তাল, লয় সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়।
শিশু বিকাশ কেন্দ্রের শিক্ষার্থী তাহিরা বিথী বলেন- ‘আমার নাচতে ভালো লাগে আর গল্পের ক্লাসে গল্প শুনতে ভালো লাগে। এজন্যেই আমি নিয়মিত শিশু বিকাশ কেন্দ্রে আসি।’
শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।