‘ওষুধ কিন্না খাইতাম পারি না, তাই এহানে আইছি’

পঞ্চাশ বছর বয়সী মেজের কান্দি গ্রামের আতাউর রহমান উঠতে বসতে পারেন না। হাঁটুতে প্রচণ্ড ব‍্যাথায় ভুগছেন প্রায় সাত মাস। নামাজ পড়তে পারেন না। পা জমিয়ে বসতে পারেন না। সেজদা থেকে উঠে বসলে তার মনে হয় হাঁটুর ভেতরে রগ যেন ছিঁড়ে যাচ্ছে। সে জন্য চেয়ারে বসে ইশারায় নামাজ আদায় করতে হয় তাঁকে। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছেন তেমন পরিবর্তন পায়নি। তারই মতো একই সমস‍্যা নিয়ে এসেছেন হাইরমারা গ্রামের পঞ্চান্ন বছর বয়সী আনোয়ারা বেগম। তিনিও দীর্ঘদিন ধরে এই সমস‍্যায় ভুগছেন। এর আগে তিনি ফার্মেসি থেকেই ওষুধ কিনে খেয়েছেন। গত শুক্রবার সাদত স্মৃতি পল্লীতে তাঁরা ৫ টাকায় টিকিট কেটে ডাক্তার দেখিয়েছেন।

আতাউর রহমান বলেন, ‘আমি আমার এক আত্মীয়র কাছতে হুনছি আমনেরার এনো খুব ভালা ডাক্তর আয়ে। আবার ঔষুধও নাকি পাওয়া যায়। এ জন্যই আইছি। আমি আগে আর কুনুসময় আইছি না।’

হাইমারা গ্রামের আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমি হুনছি আমনেরার ডাক্তররা নাকি ঔষুধও দেয়। আমরা গরিব মানুষ, ঔষুধ কিন্না খাইতাম পারি না। তাই আইছি। বেশি বিষ করলে মোড়েত্তে ঔষুধ কিন্না খাইতাম। এহন বিনা মূল্যে ঔষুধ পাইলাম আমনেরার এনো থেকে।’

প্রকল্পের নিয়মিত চিকিৎসক শামসুজ্জামান হাসান প্রতি শুক্রবার এই স্বাস্থ‍্য সেবা প্রদান করে থাকেন। তিনি এই শুক্রবারে ২৬ জন রোগীকে এই স্বাস্থ‍্য সেবা প্রদান করেছেন। ব্যবস্থাপত্রের সঙ্গে বিনা মূল্যে ওষুধও প্রদান করা হয় প্রকল্প থেকে।

সাদত স্মৃতি পল্লী প্রকল্পটি এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।