সাদত স্মৃতি পল্লী থেকে ২৬৮ জন রোগীকে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে

গত ২৯ সেপ্টেম্বর সাদত স্মৃতি পল্লীতে ডা. মুন্নি দাস ১৫ জন রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছেন।

সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে নানাবিধ কার্যক্রমে মুখর ছিলো সাদত স্মৃতি পল্লী। প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি গ্রামের মানুষদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, বয়স্কভাতা বিতরণ, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, কিশোরী মেয়েদের বিনা মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদান, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ, শিশু বিকাশ কেন্দ্র পরিচালনাসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দড়ি হাইরমারা গ্রামে সাদত স্মৃতি পল্লী অবস্থিত।

সেপ্টেম্বর মাসে সাদত স্মৃতি পল্লী থেকে ২৬৮ জন রোগীকে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধ প্রদান করা হয়েছে। দুইজন পুরুষ এবং একজন নারী ডাক্তার সপ্তাহের শুক্রবার, শনিবার ও রোববার স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখে ৬৮ জন বয়স্ক মানুষকে ১ হাজার টাকা করে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিমাসে গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ৩০ জন কিশোরী মেয়েকে প্রদান করা হয় স্যানিটারি ন্যাপকিন। গত ৬ সেপ্টেম্বর স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়েছে।

সাদত স্মৃতি পল্লী থেকে প্রতিমাসে স্থানীয় দুটি বিদ্যালয়– মনিপুরা উচ্চ বিদ্যালয় ও ইউনুছ মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪০ জন করে মোট ৮০ জন শিক্ষার্থীকে ৫০০ টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর মনিপুরা উচ্চ বিদ্যালয় ও ২০ সেপ্টেম্বর ইউনুছ মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

সাদত স্মৃতি পল্লী শিশু বিকাশ কেন্দ্রে গত ২৮ সেপ্টেম্বর গানের ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে প্রতি শুক্রবার আলাদা দুটি ব্যাচে মোট ৩০ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ। পাঁচটি কম্পিউটারের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি গ্রামীণ অসহায় নারীদের জন্যে রয়েছে বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।শুধুমাত্র  ৫০ টাকা ভর্তি ফি প্রদান করেই নেওয়া যায় এই প্রশিক্ষণ। ৩টি সেলাই মেশিনের মাধ্যমে প্রতি ব্যাচে ৯ জনকে প্রদান করা হয় এই প্রশিক্ষণ। বর্তমানে সেলাই প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় ব্যাচের ক্লাস চলমান রয়েছে। প্রতি রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার তিন দিন সেলাই প্রশিক্ষণের ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া সাদত স্মৃতি প্রকল্পে রয়েছে একটি পাঠাগার, আরজান-আরিশ নামে একটি শিশু পার্ক ও একটি শিশু বিকাশ কেন্দ্র। গ্রামের সকল শিশুদের জন্যে সোমবার ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশু পার্কটি উন্মুক্ত থাকে। এদিকে শিশুদের মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে প্রতি শুক্রবার ও শনিবার শিশুবিকাশ কেন্দ্রে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা, ছবি আঁকা, নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি ও অভিনয়ের ক্লাস নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় সাদত স্মৃতি প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।