দড়ি হাইরমারা বাবুল আলম ও নাসিমা বেগম দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান তানভীর আহমেদ রাশিক। তার বাবা বাবুল আলম একজন স্ট্যাম্প বিক্রেতা। তানভীরের মা নাসিমা বেগম একজন গৃহিণী। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তানভীর সাদত পল্লীর শিশু-বিকাশ কেন্দ্রের শিক্ষার্থী হিসেবে ক্লাস করেছে। শিশু-বিকাশে ক্লাস করা কালীন সময়ে শিশু-বিকাশ কেন্দ্রের সবচেয়ে প্রিয় ছিল ছবি আঁকা ও গান শেখা। সে স্থানীয় মনিপুরা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৭১ পেয়ে কৃতকার্য হয়েছে। বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ সরকারি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা পড়ছে। তার এখন তৃতীয় বর্ষের ষষ্ঠ সেমিস্টার চলছে।
তানভীর আহমেদ রাশিকের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন হলো, সে একজন মেকানিক্যাল এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। সে চায় দেশের বাইরে থেকে এই বিষয়ের ওপর উচ্চশিক্ষা নিতে।
তার বাবা বাবুল আলম বলেন, 'আমার ছেলে পড়াশোনায় অনেক ভালো। আমাদের অভাবের মধ্যেও সে তার লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে। আমিও চাই সে যেন শত বাঁধা অতিক্রম করে তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। পড়াশোনার পাশাপাশি সে অন্যান্য বইও পড়ে। আমার সাধ্যের মধ্যে তাকে আমি তার লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করতে চাই।'
তানভীর শুধু পড়াশোনায় ভালো না, সে ছবি আঁকে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গানও গায়। গায়ক হিসেবে এলাকায় তার সুনাম রয়েছে। কিন্তু তার মূল আগ্রহ মেকানিক্যাল এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। এ জন্য সে ভালো মতো পড়াশোনা করে তার পরিবার ও দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে চায়।