জুন মাসে যা যা হলো..

স্থানীয় শিক্ষার্থীদের আইসিটি দক্ষতার জন্য প্রদান করা হয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ।

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দড়ি হাইরমারা গ্রামে অবস্থিত সাদত স্মৃতি পল্লীটি চরাঞ্চল এলাকার মানুষের কাছে বিনা মূল্যে নানা সেবা প্রাপ্তির একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। সাদত স্মৃতি পল্লী থেকে গত জুন মাসে ২৬৪ জন রোগিকে বিনা মূল্যে বহি:বিভাগ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি সকল রোগীকে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী প্রায় শতভাগ ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। প্রকল্প থেকে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণে মহিলা ও শিশুরাই বেশি সংখ্যক সেবা গ্রহণ করে থাকেন। ২৬৪ জন রোগীর মধ্যে ১৬০ জন মহিলা, ৬৪ জন শিশু আর বাকি ৪০ জন পুরুষ রোগী সেবা গ্রহণ করেছেন। প্রতি সপ্তাহে শুক্র, শনি ও রবিবার তিন দিন এ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। দিনে সর্বোচ্চ ৩৫ জন, মাসে প্রায় সর্বোচ্চ ৪২০ জন রোগীকে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের পাশাপাশি সকলের মাঝে ওষুধও বিতরণ করা হয়।

মাসের শুরুতেই ৬০ স্থানীয় দরিদ্র অসহায় বয়স্ক মানুষকে প্রদান করা হয়েছে বয়স্ক ভাতা।

মাসের শুরুতেই ৬০ স্থানীয় দরিদ্র অসহায় বয়স্ক মানুষকে প্রদান করা হয়েছে বয়স্ক ভাতা। ষাটোর্ধ্ব বয়সের ৬০ জন বৃদ্ধ মানুষকে প্রতি মাসেই ১ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয় বয়স্কভাতা। প্রতি মাসের এক থেকে তিন তারিখের মধ্যেই এই ভাতা বয়স্কদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বয়স্কদের মোবাইলের মাধ্যমে তারিখ ও সময় জানিয়ে দেওয়া হয় পূর্বেই। যথা সময়ে প্রকল্পে এসে বয়স্করা ভাতার টাকা নিজ হাতে গ্রহণ করে থাকেন। জুলাই মাসের ভাতা ঐ মাসের ৩ তারিখ রবিবার সকল বয়স্কদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

নীয় দরিদ্র কিশোরীদের মাঝে বিনা মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়।

মাসের প্রথম শুক্রবার স্থানীয় দরিদ্র কিশোরীদের মাঝে বিনা মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়। এলাকার কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার কিশোরী শিক্ষার্থীরা এই সেবা গ্রহণ করে থাকে। কিশোরী মেয়েদের বয়:সন্ধিকালীন স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়। প্রকল্পের নিয়মিত ডাক্তারগণ এই স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। ৩০ জন কিশোরী মেয়ে নিয়মিত এই সেবা গ্রহণ করছে। গত ২ জুলাই শনিবার প্রকল্পের নিয়মিত ডাক্তার জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশির উপস্থিতিতে সকলের মাঝে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়।

নেওয়া হচ্ছে ছবি আঁকার ক্লাস।

প্রতি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার প্রকল্পে শিশু বিকাশ কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। শিশুবিকাশ কেন্দ্রে শিশুদের মানুষিক বিকাশের জন্য তাদের শেখানো হয় নিজেদের ধর্মীয় আচার-আচরণ ও শিষ্টাচার। নিজেদের সংস্কৃতি বিষয়ে জানা ও সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য রয়েছে সংগীত চর্চা, নাচ শেখা, ছবি আঁকা ও অভিনয় শিক্ষা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি স্থানীয় শিক্ষার্থীদের আইসিটি দক্ষতার জন্য প্রদান করা হয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ।

এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।