নভেম্বর মাসে ৩৫৭ জন রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে সাদত স্মৃতি পল্লী

গত ২৯ নভেম্বর ডা.খায়রুল ইসলাম সাদত স্মৃতি পল্লীতে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।

প্রতি দিন বিকেল হলেই সাদত  স্মৃতি পল্লী প্রকল্পে শিশুরা ভিড় করতে শুরু করে। ঘড়ির কাটায় তিনটা বাজলেই খুলে দেওয়া হয় সাদত স্মৃতি পল্লীতে অবস্থিত আরজান-আরিশ শিশু পার্কের গেইট। পার্কে রয়েছে শিশুদের জন্যে উন্মুক্ত রাইট ও অসংখ্য খেলনা। এরমধ্যে শিশুদের  পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দোলনা।  পার্কে ঢুকেই শিশুরা দোলনার পেছনে লাইন দিয়ে দাঁড়ায়। কার আগে কে দোলনায় দোল খাবে। চারটি টি দোলনা, দুইটি ঢেকি, দুইটি স্লিপার, একটি জাম্পার, একটি প্লে গ্রাউন্ড রয়েছে পার্কটিতে। সপ্তাহের সোমবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিনই খোলা থাকে পার্কটি। 

নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার দড়ি হাইরমারা গ্রামে অবস্থিত সাদত স্মৃতি পল্লী নানা জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে সারাবছর মুখর থাকে। সপ্তাহে তিনদিন তিনজন ডাক্তারের মাধ্যমে বহিঃবিভাগ  চিকিৎসা সেবা প্রদান করা করা হয়।  পাঁচ টাকা টিকিটের বিনিময়ে সর্বসাধারণের জন্য রয়েছে এ স্বাস্থ্যসেবা।  পাশাপাশি ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী রোগীদের মাঝে শতভাগ ওষুধ বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়। নভেম্বর মাস জুড়ে ৩৫৭ জন রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে।  পাশাপাশি আছে গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য  নৈতিকতা শিক্ষার ক্লাস, রয়েছে গান, নাচ, ছবি আঁকা, আবৃত্তি শিক্ষা ও অভিনয় শিক্ষার আয়োজন।  মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। নভেম্বর মাসে শিশু বিকাশ কেন্দ্রের ক্লাসে ৪৫-৫০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। কম্পিউটার প্রশিক্ষণে দুইটি ব্যাচের মাধ্যমে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে  প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

গত ১ নভেম্বর গ্রামের ৩০ জন কিশোরী মেয়েকে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া গত ৩ নভেম্বর ৬৯ জন বয়স্ক নারী–পুরুষকে ১০০০ টাকা করে বয়স্কভাতা প্রদান করা হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর তারিখে আম্বিয়া খাতুন স্মৃতি মেধাবৃত্তির মাধ্যমে গ্রামের দুইটি স্কুলের ৮০ জন শিক্ষার্থী পেয়েছে ৫০০ টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি । এছাড়া প্রকল্পে রয়েছে একটি  সমৃদ্ধ  লাইব্রেরি।  যেখান থেকে  পাঠকেরা বই নিয়ে পড়ার সুযোগ পায় । লাইব্রেরিতে ২২০ জন নিবন্ধিত পাঠক আছে।  

উল্লেখ্য, শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় সাদত স্মৃতি প্রকল্পটি পরিচালনা করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।