মনিপুরার কান্দাপাড়া গ্রামের আকলিমা বেগম তাঁর চার বছর বয়সি ছেলে তানিমকে নিয়ে আসেন ডাক্তার দেখানোর জন্যে। তানিমের ঠান্ডা, জ্বর ও কাশি সমস্যা। আকলিমা বেগম তাঁর ছেলেমেয়েদের নিয়মিতই সাদত স্মৃতি পল্লীতে ডাক্তার দেখান। তার নিজের শারীরিক সমস্যাও তিনি এখানেই ডাক্তার দেখাতে আসেন। আকলিমা বেগম বলেন, ‘আগে নিজের অসুখ হইলে নসুন্দি যাইতাম। অনে পজেডো (প্রজেক্টে) ভালা ডাক্তার আইয়ে হুইন্না এনেই ডাক্তার দেহাইতে আয়ি। আমরা গরিব মানু নসুন্দি গেলে অনেক ট্যাহা লাগে। এনে আইলে মাগনা ওষুধ পাই, সহজে ভালা ডাক্তারও দেহাই।’
মাহমুদপুর গ্রামের ৭০ বছর বয়সি রইস উদ্দিন এসেছেন চর্মরোগের সমস্যা নিয়ে। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি এই সমস্যায় ভুগছেন। বিভিন্ন জায়গায় ডাক্তার দেখিয়ে তেমন কোনো ফল হয়নি। গত ১ মাস যাবৎ সাদত স্মৃতি পল্লী থেকে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা ভালো আছেন। তার হাতে, পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানির ফলে ক্ষতের সৃষ্টি হলেও এখন কিছুটা শুকিয়েছে।
রইস উদ্দিন বলেন, ‘আমি হুনছি আমনেরার এহানে ভালা ডাক্তার আয়ে। আমি সাত আট মাস যাবৎ চিকিসা করাইয়াও কোনো লাভ হয়ছে না। আমনেরার এনে ডাক্তারের চিকিসায় এখন কিছুটা ভালা অইতাছে।’
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর শুক্রবার সাদত স্মৃতি পল্লীতে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন রইস উদ্দিন ও আকলিমা বেগমসহ আরও ৩৫ জন রোগী।
শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।