সাদত স্মৃতি পল্লীতে শুক্রবার, শনিবার ও রোববার তিন দিন তিনজন ডাক্তার দ্বারা বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩৫ জন রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। এই সপ্তাহে ৬৪ জন রোগী স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই মহিলা ও শিশু। পুরুষ রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।
বিনা মূল্যে এই স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী সকল রোগীকে প্রায় শতভাগ ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।
প্রকল্প এলাকার দারিদ্র্য মানুষের কাছে সাদত স্মৃতি পল্লী একটি প্রশান্তির জায়গা। শুক্রবারে ডাক্তার দেখাতে আসা নিলক্ষ্মা গ্রামের বিফলা বেগম (৭০) বলেন, ‘আমি গরিব মানু আমনেরার এনো ডাক্তার দেহাইলে তাড়াতাড়ি ভালা অই। এনের ডাক্তার রোগ বুঝে ওষুধ দিতারে।’
শনিবারে আসা আব্দুল্লাপুর গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৬০) বলেন, ‘আমি প্রায় সাত-আট বছর ধইরা ডাক্তার দেহাই। করোনার লাইগা অনেকদিন বন্ধ আছিন, হেই সময় আমরা ডাক্তার দেহাইতারছি না। আমনেরার ওষুধে আমরা অনেক উফকার ফাই। আমরা আমনেরার লাইগা দোয়াও করি।’
হাসনাবাদ গ্রামের লাইলি বেগম (৩২) চিকিৎসা সেবা নেন রোববার। তিনি জানালেন, ‘আমি এবারই প্রথম এখানে ডাক্তার দেখাতে আসছি। শুনছি নরসিংদী থেকে ভালো ডাক্তার আসে। আবার ওষুধও পাওয়া যায় এ জন্য আসছি। আসলে নরসিংদী গেলে পাঁচ ছয়শ টাকা লাগে, আবার সারা দিনটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই এখানেই আসলাম।’
শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।