সাদত স্মৃতি পল্লী
ডিসেম্বর মাসে ২২২ জন রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে সাদত স্মৃতি পল্লী
নরিসংদীর রায়পুরা উপেজেলার দড়ি হাইরমারা গ্রামে অবস্থিত সাদত স্মৃতি পল্লীতে পরিচালিত হয় নানাবিধ কার্যক্রম। নিয়মিত কার্যক্রমের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ, বয়স্কভাতা প্রদান, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, কিশোরী মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদান, শিশু বিকাশ কেন্দ্রের কার্যক্রম, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ উল্লেখযোগ্য ।
সাদত স্মৃতি পল্লীতে সপ্তাহে তিনদিন শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার তিনজন ডাক্তারের মাধ্যমে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩৫ জন রোগীকে স্বাস্থসেবা প্রদান করা হয়। ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী স্টকে থাকা সাপেক্ষে শতভাগ ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ২২২ জন রোগীকে স্বাস্থসেবা প্রদান করেছে সাদত স্মৃতি পল্লী। সকল রোগীর মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে ওষুধ ।
ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখ ৬৯ জন বয়স্ক নারী–পুরুষকে প্রদান করা হয়েছে বয়স্কভাতা। সাদত স্মৃতি পল্লী থেকে প্রতিমাসে স্থানীয় দুটি বিদ্যালয়– মনিপুরা উচ্চ বিদ্যালয় ও ইউনুছ মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪০ জন করে মোট ৮০ জন শিক্ষার্থীকে ৫০০ টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর মনিপুরা উচ্চ বিদ্যালয় ও ইউনুছ মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে প্রতি শুক্রবার আলাদা দুটি ব্যাচে মোট ৩০ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ। পাঁচটি কম্পিউটারের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি গ্রামীণ অসহায় নারীদের জন্যে রয়েছে বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
এছাড়া সাদত স্মৃতি প্রকল্পে রয়েছে একটি পাঠাগার, আরজান-আরিশ নামে একটি শিশু পার্ক ও একটি শিশু বিকাশ কেন্দ্র। গ্রামের সকল শিশুদের জন্যে সোমবার ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশু পার্কটি উন্মুক্ত থাকে। শিশুদের মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে প্রতি শুক্রবার ও শনিবার শিশুবিকাশ কেন্দ্রে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা, ছবি আঁকা, নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি ও অভিনয়ের ক্লাস নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় সাদত স্মৃতি প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।