সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে আছে সাদত স্মৃতি পল্লী

গত ৫ এপ্রিল ২০২৪ সাদত স্মৃতি পল্লী থেকে ঈদ উপহার নিয়ে বাড়ি ফিরছেন বয়স্ক ভাতাপ্রাপ্তরা।

সাদত স্মৃতি পল্লী। গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করছে।মেঘনা নদীর তীর ছুঁয়ে নরসিংদীর দড়ি হাইরমারা গ্রামে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান।

সাদত স্মৃতি পল্লীতে প্রতি সপ্তাহে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ নানা ধরণের কর্মকাণ্ড পরিচলিত হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে সপ্তাহে তিনদিন দেওয়া হয় স্বাস্থ‍্যসেবা। ডাক্তার শামসুজ্জামান হাসান, ডা. মাহমুদুল কবির আরিফ ও ডা. মুন্নি দাস নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন। হাইরমারা ইউনিয়নসহ আশেপাশের এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা প্রতি সপ্তাহে সাদত স্মৃতি পল্লীতে ডাক্তার দেখাতে আসেন।

সাদত স্মৃতি পল্লীর শিশু-বিকাশ কেন্দ্রে নৈতিক শিক্ষা, নাচ, গান, ছবি আঁকা, গল্প ও নাটকের ক্লাস নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়।

সাদত স্মৃতি পল্লীর শিশু-বিকাশ কেন্দ্রে নৈতিক শিক্ষা, নাচ, গান, ছবি আঁকা, গল্প ও নাটকের ক্লাস নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়। সাদত স্মৃতি পল্লীতে পৃথক দুটি ব্যাচে ছয় মাসব্যাপী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু রয়েছে। সাদত স্মৃতির পল্লীর আর একটি কার্যক্রম বয়স্ক ভাতা প্রদান। ষাটোর্ধ ৬৬ জন সুবিধাবঞ্চিত বয়স্ক নারী–পুরষকে প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হয়। এছাড়া সাদত স্মৃতি পল্লীর তত্ত্বাবধায়নে ৮০ জন শিক্ষার্থীকে  আম্বিয়া খাতুন স্মৃতি মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়। এসব  কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সাদত স্মৃতি পল্লী।

২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সাদত স্মৃতি পল্লী থেকে চিকিৎসা সেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ পেয়েছেন ২০ হাজার ৭৬ জন সুবিধাবঞ্চিত মানুষ। শিশু বিকাশ কেন্দ্রের নাচ, গান ও  ছবি আঁকার ক্লাসে যুক্ত ছিলেন ৩৮৮ জন শিক্ষার্থী।  

শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় সাদত স্মৃতি পল্লী প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।