স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের পাশাপাশি শিশুদের মানসিক বিকাশে কাজ করছে সাদত স্মৃতি পল্লী

ডা. শামসুজ্জামান হাসান ২৭ জন রোগীকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেন।

সকাল থেকে সাদত স্মৃতি পল্লীতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে গ্রামের সাধারণ মানুষ। সবাই এসেছেন ডাক্তার দেখানোর জন্য টিকিট কাটতে। সকাল সাতটায় টিকিট দেওয়া হয় রোগীদের। গত ১৫ সেপ্টেম্বর নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দড়ি হাইরমারা গ্রামে অবস্থিত সাদত স্মৃতি পল্লীর চিত্র এটি।

সকাল নয়টায় প্রকল্পে আসেন চিকিৎসক শামসুজ্জামান হাসান। ২৭ জন রোগীকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেন তিনি। পাঁচ টাকা মূল্যমানের টিকিটের বিনিময়ে এই স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের পাশাপাশি রোগীদের বিনামুল্যে ঔষধ প্রদান করা হয়।

অন্যদিকে সকাল নয়টায় সাদত স্মৃতি পল্লীর শিশু বিকাশ কেন্দ্রে শুরু হয় নৈতিকতা শিক্ষার ক্লাস।  এরপর একে একে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কন, নৃত্য, গান ও অভিনয়ের ক্লাস। পাশাপাশি সাদত স্মৃতি পল্লীর নির্ধারিত কক্ষে  স্কুল শিক্ষাথীর  জন্য অনুষ্ঠিত হয় বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ক্লাস।

উল্লেখ্য, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দড়ি হাইরমারা গ্রামে নিয়মিতভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য চিকিৎসক দ্বারা বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ঔষধ দেওয়া হয়। ওই অঞ্চলের শিশুদের মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে গল্প পাঠ, ছবি আঁকা, গান, নৃত্য ও নৈতিক শিক্ষাবিষয়ক ক্লাস নেওয়া হয়।শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় সাদত স্মৃতি পল্লী প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।