সাদত স্মৃতি পল্লী
সৃজনশীলতা ও নৈতিকতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সাদত স্মৃতি পল্লী
প্রথম আলো ট্রাস্ট-সাদত স্মৃতি পল্লীতে প্রতি মাসে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। কার্যক্রমের মধ্যে গ্রামের মানুষদের বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, বয়স্কভাতা বিতরণ, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, কিশোরী মেয়েদের বিনা মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদান, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ১৮ জুলাই ২০২৫ ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষার ক্লাসে সুরা ফিল ও সুরা কুরাইশ পড়ানো হয়েছে। ছবি আঁকার ক্লাসে শিশুদের ইচ্ছে মতো ছবি আঁকতে দেওয়া হয়েছে। নাচের ক্লাসে বাজারে বাজা বাংলা ঢোল, বসন্ত বাতাসে আমার, বাংলাদেশের একতারা সুর গানের মিউজিকে নাচ শেখানো হয়েছে। গানের ক্লাসে প্রজাপতি প্রজাপতি ও আজব দেশের ধন্য রাজা গান শেখানো হয়েছে। এই দিন কম্পিউটারের ক্লাস হয়েছে।
৮ জুলাই ২০২৫ ডাক্তার মো:খায়রুল ইসলামের ঢাকায় অফিসিয়াল প্রোগ্রাম থাকায় এবং ১৯ জুলাই ২০২৫ ডাক্তার মাহমুদুল কবির আরিফ অসুস্থ থাকায় ২ দিন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। উল্লেখ্য ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী প্রায় সকল রোগীকে শতভাগ ওষুধ বিনা মূল্যে প্রদান করা হয়। এছাড়াও সাদত স্মৃতি পল্লীতে বিনা মূল্যে বছরব্যাপি কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ক্লাস পরিচালিত হয়ে আসছে। ঈদের বন্ধের পর ১০ মার্চ থেকে আবারও নিয়মিত ক্লাস শুরু হয়েছে। স্থানীয় দুইটি স্কুলের নবম শ্রেণির ২০ জন শিক্ষার্থী দুইটি ব্যাচের মাধ্যমে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। মোট ২০ জন শিক্ষার্থী এখানে প্রশিক্ষন গ্রহণ করছেন। তাদের মধ্যে স্থানীয় মনিপুরা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী ও ইউনুস মিয়া বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রশিক্ষণ।
উল্লেখ্য, সাদত স্মৃতি পল্লী গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ২০১৫ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করছে। মেঘনা নদীর তীর ছুঁয়ে নরসিংদীর দড়ি হাইরমারা গ্রামে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান। শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় সাদত স্মৃতি প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।