সাদত স্মৃতি পল্লীতে শুরু হয়েছে সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম
অল্প বয়সেই হয়ে যায় বিয়ে, এরপর নির্যাতন, অবশেষে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে আসেন বাবার বাড়িতে। সাত বছর বয়সী একমাত্র ছেলেকে নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করছিলেন দড়ি হাইরমারা গ্রামের রনি আক্তার। গত ১৯ এপ্রিল থেকে সাদত স্মৃতি পল্লীতে শুরু হওয়া বিনামূল্যে নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন তিনি। চার মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন আত্মপ্রত্যয়ী রনি আক্তার।
প্রাথমিকভাবে সাদত স্মৃতি পল্লীতে তিনটি সেলাই মেশিন ও নয় জন শিক্ষার্থী নিয়ে চার মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতি বছর তিনটি পৃথক ব্যাচের মাধ্যমে নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণে ভর্তি ফি রাখা হয়েছে ৫০ টাকা। ভর্তি ফি ছাড়া পুরো প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে আর কোন টাকা গ্রহণ করা হবে না। চার মাস মেয়াদি সেলাই প্রশিক্ষণে কাটিং ও সেলাই বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।প্রশিক্ষণার্থীদের সবাই নরসিংদীর দড়ি হাইরমারা গ্রামের অসহায় ও দুঃস্থ নারী।
প্রশিক্ষণ নিতে আসা সাবরিয়া আক্তার জেবিন বলেন, আমি সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে একটি টেইলার্স দিতে চাই। নিজের পায়ে দাঁড়াব, আমি সাবলম্বী হতে চাই।
উল্লেখ্য, শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় সাদত স্মৃতি প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।