‘স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন বিষয়ে সচেতনতা খুবই জরুরি’
প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার সাদত স্মৃতি পল্লীতে আসেন ৩০ জন কিশোরী মেয়ে। তারা সবাই স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। ওদের অনেকেই জানত না স্যানিটারি ন্যাপকিন কি? কেননা তারা প্রত্যেকেই খুবই দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন বিষয়ে তাদের কোনো প্রকার সচেতনতা। তাদের প্রায় সবার অভিভাবকেরই নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। সেখানে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবহার আরও কল্পনাতীত ব্যাপার।
প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত সাদত স্মৃতি পল্লীি এই সকল দরিদ্র কিশোরী মেয়েদের প্রতি মাসে বিনা মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদান করে। প্রতি মাসে তাদের মাঝে বয়:সন্ধিকালীন স্বাস্থ্য পরামর্শও দেওয়াা হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার প্রকল্পের নিয়মিত চিকিৎসক ডা. শামসুজ্জামান হাসান স্বাস্থ্য পরামর্শ দেন এবং মেয়েদের হাতে তুলে দেন স্যানিটারি ন্যাপকিন।
স্থানীয় ইউনূস মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিঝুম বলেন, ‘আমি প্রায়ই মহিলা ডাক্তারের কাছে আসি পরামর্শ নিতে। আমি শুরু থেকেই এখান থেকে ন্যাপকিন পাই। এজন্যে আমি সুস্থ আছি।
চিকিৎসক ডা. শামসুজ্জামান হাসান বলেন, বয়:সন্ধিকালীন সময়টা বিশেষ করে মেয়েদের জন্য খুবই বিশেষ একটি সময়। এ সময়ে মেয়েদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন থাকা উচিত। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন বিষয়ে সচেতনতা খুবই জরুরি।
এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।