সাদত স্মৃতি পল্লীতে প্রথম ব্যাচের সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে
স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন দড়ি হাইরমারা গ্রামের রনি আক্তার। অর্থ সংকটের কারনে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছিলেন তিনি। নারীদের আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষ্যে সাদত স্মৃতি পল্লীর উদ্যোগে গত ১৯ এপ্রিল ২০২৪ থেকে শুরু হয় সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। বিনামূল্যে নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেন তিনি। গত জুলাই মাসে প্রথম ব্যাচের সেলাই প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। চার মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন রনি আক্তার।
সাদত স্মৃতি পল্লীর উদ্যোগে তিনটি সেলাই মেশিন দিয়ে শুরু হওয়া চার মাসব্যপী এই কার্যক্রমে প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা ছিল ৯ জন। সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করেছে আট জন প্রশিক্ষণার্থী। প্রশিক্ষণ শেষ করা প্রার্থীরা হলেন–সাবরিয়া আক্তার, রত্না আক্তার, জিদনী আক্তার, রহিমা আক্তার, শাহানাজ বেগম, রনি আক্তার, শারমিন আক্তার ও সাবিকুন্নাহার।
প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের মধ্যে সাবরিয়া আক্তার, জিদনী আক্তার, রহিমা আক্তার ও শাহানাজ বেগম টেইলারিং পেশায় নিজেদেরকে যুক্ত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে প্রশিক্ষণার্থী সাবরিয়া আক্তার বলেন, ‘প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেলাইয়ের মৌলিক বিষয়গুলো ভালোভাবে শিখেছি। নারীদের ঘরে বসে থাকলে চলবে না। ভবিষ্যতে গ্রামে টেইলার্স দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।’
উল্লেখ্য, সাদত স্মৃতি পল্লী গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করছে। মেঘনা নদীর তীর ছুঁয়ে নরসিংদীর দড়ি হাইরমারা গ্রামে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান। শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় সাদত স্মৃতি প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।