শিশু-বিকাশ কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ছবি আঁকার ক্লাস
করোনার সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ ছিল প্রথম আলোট্রাস্ট - সাদত স্মৃতি পল্লীর শিশু-বিকাশ কেন্দ্রসহ অন্যান্য কার্যক্রম৷ করোনা সংক্রমণের ফলে শিশুদের নানাবিধ বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে৷ সকল বিনোদন কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বন্ধ ছিল বিভিন্ন খেলাধুলার সুযোগ৷ পরবর্তীতে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন কার্যক্রম খুলে দেওয়া হলেও সংক্রমণের আশঙ্কায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সম্ভব হয় নি৷ দীর্ঘ আঠারো মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর সরকারি নির্দেশে ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে খুলে দেওয়া হয়। সাদত স্মৃতি পল্লীতেও খুলে দেওয়া হয় শিশু-বিকাশ কেন্দ্রটি৷
শিশু-বিকাশ কেন্দ্রটি খুলে দেওয়ার পর গত শুক্রবার থেকে ছবি আঁকার ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। ক্লাসে কেউ এঁকেছে প্রকৃতির দৃশ্য, কেউ বাড়ি, কেউ ফুল, কেউ জাতীয় পতাকা, কেউ এঁকেছেন পাখি, কেউ বা হাতির ছবি৷ স্বাধীনতা ছিল শিশুদের ইচ্ছেমতো ছবি আঁকার৷ বহুদিন পর শিশুরা ছবি আঁকতে পেরে খুবই অনন্দিত।
নরসিংদী রায়পুরার দড়ি হাইরমারা গ্রামের শিশুদের কাছে শিশু-বিকাশ কেন্দ্রটি আনন্দ ও বিনোদনের সাথে শিক্ষা গ্রহণের অন্যতম প্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান৷ বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টা, শুক্রবার সকাল ৮ টা বাজলেই স্থানীয় শিশুরা দল বেঁধে শিশু-বিকাশ কেন্দ্রে চলে আসে৷ শিশু-বিকাশ কেন্দ্রের প্রায় সকল শিশুরাই ছবি আঁকতে খুব ভালবাসে৷ ছবি আঁকার ক্লাসে বাচ্চাদের ছবি আঁকার জন্য কাগজ, পেনসিল, রং পেনসিল, ইরেজার, শার্পনার, স্কেল, বোর্ডসহ সবই শিশু-বিকাশ কেন্দ্র থেকে প্রদান করা হয়৷ ছবি আঁকা শেষে শিশুদের আঁকা ছবিগুলো শিক্ষকের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ শিক্ষক দেখার পর তা শিশু-বিকাশ কেন্দ্রে সংরক্ষিত থাকে৷
শিশু-বিকাশের শিক্ষার্থী সাথির বাবা আজহারুল ইসলাম (৪২) বলেন, ‘আমার মেয়ে আগে মানুষের সঙ্গে কথাই বলতে পারত না৷ শিশু-বিকাশ কেন্দ্রে যাওয়ার পর থেকে সে সবার সঙ্গে সহজে মিশতে পারে, সবার সঙ্গে ভালো করে কথা বলে৷ সে এখন ছবি আঁকতে পারে, গান গাইতে পারে৷ আপনাদের এই প্রতিষ্ঠান (সাদত স্মৃতি পল্লী) থাকায় এলাকার মানুষের অনেক উপকার হয়৷ এখান থেকে বাচ্চারা অনেক কিছুই শিখতে পারে৷’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের বিনা মূল্যের স্বাস্থ্য সেবাটা এলাকার মানুষের জন্য আশির্বাদ৷ বিশেষ করে গরিব মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় তারা খুবই উপকৃত হয়৷’
সাদত স্মৃতি পল্লী প্রকল্পটি এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহায়তায় পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।