হাসনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা শেফালি । বয়স ৫০ বছর । সারাশরীরে চুলকানি রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেননা। শেফালি জানালেন ডাক্তর দেখাইলাম। ওষুধ পাই বিনামুল্যে। ডাক্তর দেখাইতেও কোনো টাকা পয়সা খরচ হয়নি।
নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার দড়ি হাইরমারা গ্রামে সাদত স্মৃতি পল্লীতে শুক্রবার , শনিবার ও রোববারে সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে লাইন বাড়তে থাকে। নির্ধারিত টিকিট শেষ হলে ওইদিন আর টিকিট পাওয়া যায় না। রোগীদের পাঁচ টাকা মূল্যের টিকিট সংগ্রহের সময় তাদের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও নতুন বা পুরোনো রোগীর তথ্য লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়।
সাদত স্মৃতি পল্লী প্রকল্প কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানালেন, সপ্তাহে তিনদিন মেডিসিন বিশেষজ্ঞগণ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন। শুক্রবার ডা.শামসুজ্জামান হাসান, শনিবারে ডা.জান্নাতুল ফেরদৌস ও রোববারে ডা.মাহমুদুল কবির আরিফ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন। মাস্ক পড়া সবার জন্য বাধ্যতামূলক৷ ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয় ।
মেঘনার ওপার থেকে নদী পার হয়ে চরে অনেক মানুষ স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসেন। অনেকেই সকালে এসে লাইন ধরেন সাদত স্মৃতি পল্লীতে। সপ্তাহে তিনদিন তিনজন ডাক্তার প্রায় ১০৫ জন রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন। দড়ি হাইরমারা গ্রামের হাসনা, বয়স ৬৫ বছর। গ্যাসটিকের সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন ।
এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় প্রথম আলো ট্রাস্ট এটি পরিচালনা করছে।