আগামী সপ্তাহে খুলবে আরজান-আরিশ শিশু পার্ক

আরজান-আরিশ শিশু পার্কের খেলনা।

নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার দড়ি হাইরমারা গ্রামে সাদত স্মৃতি পল্লী প্রকল্পে শিশুদের খেলার জন্য স্থাপিত হয়েছে আরজান-আরিশ শিশু পার্ক। করোনার কারণে পার্কটি বহুদিন বন্ধ থাকলেও আগামী সপ্তাহে এটে আবার খুলে দেওয়া হবে। প্রকল্প কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানানেল, ‘খেলনা মেরামত ও রঙের কাজ চলছে। রঙের কাজ শেষ হলে শিশুদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।’

পার্কে রয়েছে অসংখ্য খেলনা যা দড়ি হাইরমারা গ্রামসহ স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের শিশুদের খেলার প্রিয় অনুসঙ্গ। সোমবার ছাড়া প্রতিদিনই পার্কটি খোলা থাকবে। পার্কে একটি বড় খেলনা রয়েছে সেখানে একসঙ্গে অনেক শিশু খেলতে পারে।

আরজান-আরিশ শিশু পার্কের খেলনা।

বেশির ভাগ শিশুদের পছন্দের তালিকায় থাকে দোলনা। কেউ কেউ স্লিপারে বসে সারা শরীর পাখির মতো বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে দুরন্ত গতিতে নিচে নামতে থাকে। খেলনাটিতে রয়েছে বড় একটি পাইপ স্লিপার যা বাচ্চাদেরকে পাইপের ভিতর দিয়ে উপর থেকে আঁকা-বাঁকা পথে দ্রুত নিচে নেমে আসার আনন্দ দেয়। আরেকপাশে রয়েছে আরও একটি বড় আঁকা-বাঁকা স্লিপার। অন্যপাশে একসঙ্গে রয়েছে দুটি অসমতল স্লিপার, যাতে বেশির ভাগ শিশুই দুইজন একসাথে হাতে হাত ধরে সোজা পথে আঁকা-বাঁকা হয়ে নিচে নেমে যায়। রয়েছে একটি পাইপ যাতে শিশুরা হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয়। তারই পাশে একেবারে নিচে রয়েছে একটি মোটা রশি দিয়ে তৈরি নেটের পাইপ। যার ভিতর দিয়ে হামাগুড়ি দিতে পারে শিশুরা।

আরজান-আরিশ শিশু পার্কের খেলনা।

একেবারে ছোট শিশুদের জন্য রয়েছে দুটি ছোট স্লিপার, যাতে চার ধাপ সিঁড়ি বেয়ে সামান্য উঁচুতে উঠেই শিশুরা স্লিপারে চড়তে পারে। ছোট শিশুদের জন্য অন্যপাশে রয়েছে ছোট একটি আঁকা-বাঁকা স্লিপার। একপাশে রয়েছে তিনটি চাতকি, যার উপরে দাঁড়িয়ে শিশুরা ঘুরে-ঘুরে আনন্দ পায়।

এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় প্রথম আলো ট্রাস্ট প্রকল্পটি পরিচালনা করছে।