সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সিংহড়তলী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে চুনকড়ি নদ। এর পূর্বদিকে সুন্দরবন। সিংহড়তলী গ্রামে অন্তত ৫০০ পরিবারের বসবাস। তাদের বেশিরভাগ বাড়িই কাঁচা। চুনকড়ি নদের তীরেই প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে হংকং সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এইচএসবিসি) ব্যাংকের সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয় প্রথম আলো দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র।
সিংহড়তলী গ্রামের পল্লিচিকিৎসক মো. শহিদুজ্জামান জানালেন, সিডর-আইলার সময় নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার কোনো জায়গা ছিল না। দুর্যোগে প্রথম আলো দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র আমরা আশ্রয় নেই। ২০২০ সালে মে মাসে ঘূর্ণিঝড় আম্পান থেকে রক্ষা পেতে ওই গ্রামের ৩০০ জনের বেশি মানুষ প্রথম আলো দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রে নেন।
২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি নির্মাণ কাজ শুরু হয় আশ্রয়কেন্দ্রটি। পুরোপুরি প্রস্তুত হয় ২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি । এর আয়তন ২ হাজার ৬২৮ বর্গফুট। আধুনিক এ আশ্রয়কেন্দ্রের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ১০০ জন।বর্তমানে ভবনটিতে ১৮৩ নম্বর সিংহড়তলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। যেহেতু এ অঞ্চলে সুপেয় পানির অভাব তাই বৃষ্টির পানি ধরে ধরে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে এ আশ্রয়কেন্দ্রে।
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় ২০০৯ সালে আঘাত হানে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ‘আইলা’। আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় সে দুর্যোগ হয়ে উঠেছিল দুঃসহ। গৃহহীন হন দুই লক্ষাধিক মানুষ। সে সময় প্রথম আলো ট্রাস্ট শ্যামনগর উপজেলার সিংহড়তলী এলাকায় একটি দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।