‘সব পাইছি, কয়েক দিন বালা যাইব’

ত্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন বানভাসি মানুষজন। গতকাল নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলার মুজিবনগর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায়ছবি: পল্লব চক্রবর্তী

হাজেরা খাতুনের বয়স এখন আশি ছুঁই ছুঁই। অভাবের সংসার, একমাত্র ছেলে আলীম বিয়ে করে সিলেটে থাকেন। ঘরে তাঁর অন্ধ স্বামী মফিজ উদ্দিনকে (৮৭) রেখে কোথাও কাজেও যেতে পারেন না। বয়স্কভাতা আর মানুষের দয়ার ওপরই চলতে হচ্ছে তাঁকে। এবারের বন্যার পানি তাঁদের আরও বিপদ বাড়িয়ে দিয়েছে। ঘরে খাবার নেই। সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের যে ঘরে তাঁরা বসবাস করেন, ওই ঘরও এবার কিছু অংশ ভেঙে গেছে।

গতকাল রোববার বিকেলে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে বিতরণ করা ত্রাণ পেয়ে হাজেরা আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, ‘বন্যার পরে আমার বিপদ আরও বাড়ছে। মাইনষের দেওয়া খিচুড়ি আর মুড়ি-চিড়া খাইয়া দিন কাটতাছে। পেট ভইরা আমরা বুড়াবুড়ি ভাত খাইতে পারি না। আইজ চাউল, ডাইল, তেল, লবণ, চিনি, মসলা—অনেক কিছু পাইছি, কয়েক দিন বালা কইরা খাইতে পারবাম।’

সমাজকর্মী শাকের খান বলেন, প্রথম আলো বন্যার্ত মানুষের পাশে দুর্যোগ শুরুর সময় থেকেই এগিয়ে এসেছে। এটি মানবিকতার অনেক বড় উদাহরণ।