যশোরের কেশবপুরে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। রোববার সকালে কেশবপুর সরকারি কলেজে ও দুপুরে শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে দুর্গম এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।
কেশবপুর শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরের গ্রাম ময়নাপুর, শানতলা, ও কালীচরণপুরে ৫০টি পরিবারের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেন, সুফলাকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অরুন মন্ডল ও প্রথম আলো প্রতিনিধি দিলীপ মোদক।
ময়নাপুর গ্রামের সরস্বতী মন্ডলের (৮০) একটি কাঁথা ছাড়া আর কিছু নেই। তীব্র শীতে তার কষ্ট বেড়েছে। কম্বল পেয়ে তিনি বলেন, ‘এই কম্বলডা পেয়ে বাঁচপানে।’ কালীচরনপুর গ্রামের সুকর্না (৯০) বলেন, ‘শীত নিবারণের জন্য আগে কখনো কিছু পাইনি। তোমরা কম্বলডা দিলে অনেক ভালো হলো।’
এর আগে কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজে বিজয় স্তম্ভ চত্বরে একশত ৩০টি পরিবারের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এনায়েত হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আজিজুর রাহমান ও প্রথম অলো প্রতিনিধি দিলীপ মোদক। অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, প্রথম আলো সংবাদ পরিবেশনের বাইরে সামাজিক দায়বোধ থেকে অনেক ভালো কাজ করে। এর মধ্যে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ একটি। তিনি প্রথম আলোর প্রশংসা করে বলেন, গণিতের শিক্ষক হিসেবে গণিত উৎসবে তিনি যান। এ থেকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয়।
কম্বল পেয়ে আবিলা দাস (৯৫) বলেন, ‘এবার অনেক শীত, এই শীতি কম্বলডা কাজে লাগবেনে।’ শামছুর রহামান বলেন, ‘এ রকম শীত আমরা ছোট বেলায় দেখেছি। এই শীতে যেমন তেমনভাবে কাটানো যাচ্ছে না। এই কম্বল পেয়ে ওম হবে।’
কম্বল বিতরণের সার্বিক সহযোগিতা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভা। এ সময় বন্ধুসভার সভাপতি হুসাইন আহম্মেদ, সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপ্ত রায় চৌধুরী, সাদেক হোসেন, আল আমিন, ইমরান হোসেন, সুমন হোসেন, দিপ্তী, রীনা, সরস্বতী ও পুষ্পিতা উপস্থিত ছিলেন।
শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন।
হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল
হিসাব নম্বর: ২০৭২০০০০১১১৯৪
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।
অথবা
বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমেও আপনার অনুদান পাঠাতে পারেন।
ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে প্রথম আলো ট্রাস্টে ৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৬ টাকা অনুদান এসেছে। এর মধ্যে সেন্ট্রাল উইমেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. পারভীন হাসান ১ লাখ টাকা, ইলেকট্রো মার্ট লিমিটেড (কনকা) ৫ লাখ টাকা, প্রখ্যাত টেবিল টেনিস খেলোয়াড় জোবেরা রহমান লিনু ২০ হাজার ও ওল্ড ডিওএইচএস ( বনানী) বাসিন্দা মাহমুদা খাতুন ২০ হাজার টাকা, শিক্ষক মাহমুদা আক্তার ৫ হাজার টাকা প্রদান করেছেন।