মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) বিকাশের সহযোগিতায় ও প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে দোহারের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পাঠাগার ও উজান গণগ্রন্থাগারে প্রায় ৫০০ বই উপহার দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে দোহারের জয়পাড়া এলাকায় আয়শা কমপ্লেক্স ভবনে উজান গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে এসব বই উপহার দেওয়া হয়। পাঠাগারগুলোতে গল্প, কবিতা, উপন্যাস, ছড়া, শিশুতোষ ও আদর্শলিপির বই উপহার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিশুদের আদর্শলিপির বইও দেওয়া হয়েছে।
বই উপহার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (দোহার সার্কেল) আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, খাবার যেমন মানুষের পেটের ক্ষুধা মেটায়, বই মানুষের মনের ক্ষুধা মেটায়। বই হচ্ছে মনের খোরাক। বর্তমানে কিশোর ও কিশোরীরা মুঠোফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। এ আসক্তি থেকে তাদের ফিরিয়ে আনতে তাদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পাঠাগারের পরিচালক মাধুরী বণিক বলেন, ‘আমার জীবনে বই ছাড়া আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি সমাজে বইয়ের জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে চাই। সবাই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হবে এটাই আমার চাওয়া।’ উজান গণগ্রন্থাগার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘বইগুলো পেয়ে আমাদের পাঠাগারটির পরিধি বেড়েছে ও আরও উজ্জীবিত হয়েছে। অনেকগুলো নতুন বই পেয়েছি। এসব বইয়ের ঘ্রাণ পাঠকদের কাছে পৌঁছে যাবে।’
উজান গণগ্রন্থাগারের সহসভাপতি মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে বই উপহার অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জয়পাড়া সরকারি পাইলট বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম, দোহার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, উজান গণগ্রন্থাগারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, কেরানীগঞ্জ বন্ধুসভার সভাপতি এইচ এম রুবেল, সাবেক সভাপতি রেবেকা সুলতানা ঊর্মি, সহসভাপতি তানজিমা নুসরাত, অর্থ সম্পাদক শামসুন্নাহার শিরীন ও কার্যকরী সদস্য সাজ্জাদ হোসাইন প্রমুখ।
বিকাশের নেওয়া এই বই বন্ধনের উদ্যোগের সঙ্গে পার্টনার হিসেবে আছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে প্রথম আলো ট্রাস্টে বই কেনার জন্য ডোনেশনও দিতে পারেন গ্রাহক।