গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীদের মধ্যে কম্বল বিতরণ

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার ১৫৪টি কম্বল বিতরণ করেছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম গুড়িহারী-কামদেবপুর।  সেই গ্রামে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত ‘গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালা’র অবস্থান। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার ১৫৪টি কম্বল বিতরণ করেছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।

প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে  বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালা প্রাঙ্গণে ১৫৪টি কম্বল বিতরণ করা হয়। দরিদ্র পরিবার থেকে আসা বিদ্যালয়ের ১৫৪ জন ছাত্রছাত্রীর মাঝে এসব কম্বল দেওয়া হয়। কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, আলোর পাঠশালা স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ, প্রধান শিক্ষক রাজিত রবিদাস, স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য মিস্ত্রি কিস্কু ও আবেদা বেগম। অন্যদের মধ্যে প্রথম আলোর নওগাঁ প্রতিনিধি ওমর ফারুক, গুড়িহারী-শালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান, সিসিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাদের আলী ও গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালা সহকারী শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কম্বল পেয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছে গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীরা।

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার শিক্ষক, স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এই বিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পরিবার থেকে এসেছে। শীতের প্রকোপ থেকে নিজেকে রক্ষা করার মতো হতদরিদ্র দিনমজুর পরিবারগুলোর পর্যাপ্ত কম্বল নেই। ফলে কনকনে ঠান্ডায় মানবেতর জীবনযাপন করছিলো তাঁরা। প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে কম্বল দেওয়ায় পরিবারগুলোর শীতের কষ্ট লাঘব হলো।  

কম্বল পাওয়ার পর ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী জুই রবিদাস বলেন, ‘আমাদের স্কুলে পড়ালেখা করতে তেমন কোন টাকাপয়সা লাগে না । আবার কম্বলও দিলো। অন্য স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা কম্বল পায়নি। কম্বল গায়ে দিয়ে লেখাপড়া করব। এই কম্বলটা আমাদের শীত থেকে রক্ষা  করবে।'

কম্বল পাওয়ার পর দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেনের চোখেমুখে ছিল প্রশান্তির হাসি। সাখাওয়াত বলে, 'যে কনকনে শীত পড়ছে দুই-তিনটা জামা গায়ে দিয়েও শীত যায় না। উলের নরম তুলতুলে এই কম্বলটা গায়ে দিলে আর শীত লাগবে না।’ গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিত রবিদাস বলেন, ‘২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৫৪ জন। এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি বছরই কিছু না কিছু উপহার পাঠায় প্রথম আলো ট্রাস্ট।’

শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে। হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল, হিসাব নম্বর: ২০৭২০০০০১১১৯৪, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।

অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমেও আপনার অনুদান পাঠাতে পারেন। ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে প্রথম আলো ট্রাস্টে ৮,১১,১০১  টাকা অনুদান এসেছে।