নতুন পোশাক পেলেন ২৫০ বন্যার্ত

প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের নতুন পোশাক দেওয়া হচ্ছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ফেনী সদর উপজেলার কাজীরবাগ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে।ছবি: প্রথম আলো

বন্যার পানি এত দ্রুত বাড়িতে উঠতে শুরু করেছিল যে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য সময় ছিল অল্প। বিপদ আঁচ করতে পেরে পরিবার নিয়ে এক কাপড়ে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন কৃষক আবুল খায়ের (৭৮)। এরপর ত্রাণসহায়তা হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেওয়া শুকনো খাবার ও চাল–ডাল পেয়েছেন। তবে প্রথমবারের মতো নতুন পোশাক পেয়ে খুশির কথা জানালেন সত্তরোর্ধ্ব এই ব্যক্তি।

আবুল খায়েরের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার কাজীরবাগ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে। প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর (রোববার) সোনাপুর ছাড়াও পাশে অশ্বদিয়া, আলোকদিয়া ও ভালুকিয়া গ্রামে বন্যার্ত ২৫০ জনের হাতে নতুন পোশাক তুলে দেন প্রথম আলো বন্ধুসভা ফেনীর সদস্যরা।

প্রথম আলো ট্রাস্টের দেওয়া নতুন পোশাক হাতে খুদে শিক্ষার্থী জান্নাত ইসলাম মিম বলল, বন্যার মধ্যে তার প্রায় সব জামাকাপড় নষ্ট হয়ে গেছে। এখন নতুন এই জামা পরে স্কুলে যাবে সে। 

মায়ের কোলে চড়ে নতুন পোশাক নিতে এসেছিল শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস। শিশুটির মা জানালেন, বন্যার পানি উঠে বাড়ির সব নষ্ট হয়ে গেছে। সন্তানের জন্য নতুন এই পোশাক পেয়ে আনন্দিত তিনি।

প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে নতুন পোশাক নিতে এসেছিল বাক্‌প্রতিবন্ধী কিশোর মারুফ। কথা বলতে না পারলেও নতুন পোশাক হাতে পেয়ে তার চোখে–মুখে উচ্ছ্বাস দেখা গেল।

পোশাক বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো বন্ধুসভা ফেনীর উপদেষ্টা ও ফেনী ন্যাশনাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবদুল হালিম, সোনাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার চক্রবর্তী, সহকারী শিক্ষক নুরুল আলম ভূইয়া, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

বন্যার্তদের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন

হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল।

হিসাব নম্বর: ২০৭২০০০০১১১৯৪, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।

অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমেও আপনার অনুদান পাঠাতে পারেন।

গতকাল আরও যাঁরা সহায়তা দিলেন

বন্যার্তদের সহায়তায় প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ তহবিলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির আর্থিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত আছে।
গত ২২ আগস্ট থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত এ তহবিলে মোট জমা হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৪৭ টাকা।

গেন্ডারিয়া দখিনা অ্যাপার্টমেন্ট: ২০ হাজার টাকা।

সৈয়দ ফাউন্ডেশন, গেন্ডারিয়া: ২০ হাজার টাকা।

বিকাশের মাধ্যমে: ৩১ হাজার ১ টাকা।