মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) বিকাশের সহযোগিতায় ও প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে কামরাঙ্গীরচরের বুড়িগঙ্গা গণপাঠাগার সমাজকল্যাণ সংস্থায় ২০০টি বই উপহার দেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কামরাঙ্গীরচরের আশরাফাবাদ মাদবরপাড়া এলাকায় পাঠাগারের মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর উপবার্তা সম্পাদক কাজী আলিম-উজ-জামান এবং সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ইসমাইল হোসেন পাঠাগারের সভাপতি শেখ জামালের হাতে ২০০টি বই তুলে দেন। এসব বইয়ের মধ্যে রয়েছে গল্প, ছোটগল্প, উপন্যাস, কবিতা, ছড়া, বিজ্ঞান ও শিক্ষামূলক বই। এ ছাড়া অক্ষর শেখার ‘আদর্শলিপি’ বইও দেওয়া হয়েছে।
এ সময় কাজী আলিম-উজ-জামান বলেন, ‘২০১৬ সালে আমি প্রথম বুড়িগঙ্গা গণপাঠাগারে এসেছিলাম। সে সময় আমি রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার পাঠাগার নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করেছিলাম। বুড়িগঙ্গা গণপাঠাগার সেগুলোর একটি ছিল।’ পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল মিয়ার স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, ‘এ পাঠাগার সব সময় খোলা থাকায় মাঝেমধ্যে বই চুরি হতো। চুরি রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে যখন শহিদুল ভাইকে জিজ্ঞেস করি, তখন তিনি বলেন, “বই চুরি হতে পারে। তবে আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা এখান থেকে বই পড়ে পড়ে এমন এক চিন্তাধারায় আসবে যে একসময় তারা অনুধাবন করবে, বই চুরি করা ভালো নয়।” সাধারণ মানুষের এমন অসাধারণ তত্ত্ব দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম।’
শিশু–কিশোরসহ সবাইকে বই পড়ার তাগিদ জানিয়ে ইসমাইল হোসেন বলেন, বই পড়ে আলোকিত মানুষ হতে হবে। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। ধর্মীয়, শাস্ত্রীয় ও শিক্ষাগতভাবে—সবকিছু মিলিয়ে পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে বই পড়তে হবে। আগামী প্রজন্ম যেন বইয়ের ভেতর লুকিয়ে থাকা জ্ঞান ও সভ্যতা বের করে এনে নিজেদের চিনতে ও জানতে পারে। প্রথম আলো ও বিকাশ এ আলোকবর্তিকা ছড়িয়ে দেওয়ায় তাদের প্রতি শ্রদ্ধা।
উপহারের বই পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৪ সালে আমাদের বন্ধুবান্ধব ও এলাকাবাসী মিলে এ বুড়িগঙ্গা গণপাঠাগারটি গড়ে তুলেছিলাম। প্রথম আলো ও বিকাশের মাধ্যমে বই পেয়ে আমরা আরও উৎসাহিত হয়েছি। সারা দেশে এমন পাঠাগার গড়ে উঠলে কোমলমতি শিশুরা জ্ঞানের আলো নিতে পারবে।’