‘ম্যালা বয়স হচে। ঠিকমতো রিসকা চলাবারও পারি না। প্যাটের দায়ে বিয়ানবেলা রিশকা লিয়ে বের হচি। ঠান্ডাত জিওডা বার হয়্যা যাচ্চে। কম্বলডা প্যায়া খুব ভাল হচে। রাতত গাওত দিয়্যা অসুম লিয়ে নিন পারবার পারমু।’ গত শনিবার দুপুরে বগুড়া শহরের শহীদ খোকন পার্কে কম্বল পেয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানান, ৭০ বছর বয়সী জানে আলম শেখ। তাঁর বাড়ি সারিয়াকান্দি উপজেলার চন্দনবাইশা গ্রামে। এক দশক আগে নদীভাঙনে বসতভিটা হারানোর পর তিনি বগুড়া শহরে আসেন।
আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসির সহায়তায় ও প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে অসহায়, দুস্থ ও প্রতিবন্ধী মানুষের মধ্যে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ১৫০ কম্বল বিতরণ করা হয়। সকাল থেকেই বইছিল হিমেল বাতাস। দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। শীতে কাবু ছিন্নমূল মানুষ। দুপুরে প্রথম আলো ট্রাস্টের দেওয়া কম্বল নিয়ে শহরের খোকন পার্কে হাজির হন বগুড়ার প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা। আগেই শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে অসহায় রিকশাচালক, ভিক্ষুক, শ্রমজীবী অসহায় মানুষকে খুঁজে বের করে শহীদ খোকন পার্কে হাজির করা হয়।
কম্বল পেয়ে ভিক্ষুক ফুলজান বেগম বলেন, ‘রেলবস্তিত থাকি। গাওত দেওয়ার মতো ঘরত অ্যানা গরম কাপড়ও নাই। রাতের বেলা হু হু করে ঘরত বাতাস ঢোকে। ঠান্ডাতে থাকপার পারি না। কম্বলডা পায়্যা খুব উপকার হলো।’ কম্বল পেয়ে রিকশাচালক রজব আলী বলেন, ‘ঠান্ডাত জীবন যায় যায় অবস্থা। কম্বলডা গাওত দিয়া শন্তিতে ঘুমাবার পারিমো।’
শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন।
হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল
হিসাব নম্বর: ২০৭২০০০০১১১৯৪
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।
অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমেও আপনার অনুদান পাঠাতে পারেন।