‘বাড়িতি যে খ্যাতা আচে-তা পাতলা,গায় দিলিও জাড় লাগে। আজগে নোতন কোম্বল পাইয়ে আমার খুব ভালো লাগজে। রাতির বেলা আমি, মা আর আব্বা এই কোম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাবো ।এই মুটা কোম্বল গায় দিলি আর জাড় লাগবেনানে।’ এই কথাগুলো চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুরের সাত বছর বয়সী ফারহানা খাতুনের। টানা দুই দিন ধরে বয়ে চলা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গায় জবুথবু অবস্থা। মধ্য দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় দিশেহারা অসহায় মানুষ। এমন অবস্থায় ফারহানার মতো সুবিধাবঞ্চিত, এতিম ও অসহায় শীতার্ত ১০০শিশুর হাতে প্রথম আলো ট্রাস্টের উপহার নতুন কম্বল পৌঁছে দিয়েছে বন্ধুসভার সদস্যরা।
‘হাতে কম্বল ,মুখে হাসি’ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রথম আলো চুয়াডাঙ্গা বন্ধুসভা গতকাল বুধবার বিকেলে ভালাইপুর হামিরন নেসা আল-কুরআন আদর্শ ক্বওমী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নতুন কম্বল বিতরণ করে। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর বুধবার আলমডাঙ্গা উপজেলার নতিডাঙ্গা আবাসন প্রকল্প ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ১০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে প্রথম আলো ট্রাস্টের নতুন কম্বল বিতরণ করা হয়।
নতুন কম্বল পেয়ে কেমন লাগছে এমন প্রশ্নে জবাবে তামিম বলে, ‘আমি খুপ খুশি হইচি। আমার বন্ধুরাও খুশি হয়েচে।বাড়ি গেলি আমাগের আব্বা-মা আরু খুশি হবেনে।’
গত বুধবার বিকেলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভালাইপুর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আমির হোসেন বলেন, ‘প্রথম আলো ট্রাস্ট শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যে মহৎ কাজটি করে চলেছে তা বহুদিন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা সম্মিলিত ওলামা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা বশির আহমদ প্রথম আলোর কম্বল বিতরণের এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেন।
কম্বল বিতরণকালে অন্যান্যের মধ্যে প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলম, প্রথম আলো বন্ধুসভার সহসভাপতি মোহাইমেনুল ইসলাম সাতিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আল আরাফাত, সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, সদস্য মাহবুবুল আলম রিফাত, সাদিয়া সুলতানা সুরাইয়া, রনিতা ইসলাম ও শওকত আলী এবং ভালাইপুর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা শান্তি ও ভালাইপুর হামিরন নেসা আল-কুরআন আদর্শ ক্বওমী মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব জহিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।