স্নাতকে প্রথম শ্রেণি পেলেন অদম্য প্রিংয়াকা

অদম্য মেধাবী প্রিয়াংকা নাসরিন।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বাড়াইপাড়া গ্রামের মেয়ে প্রিয়াংকা নাসরিন । বাবার আর্থিক অবস্থা দুর্বল হওয়ায় ছোট থেকে অভাব দেখে বড় হয়েছেন। তারপরও দমে যাননি প্রিয়াংকা। নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এগিয়ে গেছেন অদম্য গতিতে। কঠোর পরিশ্রম করে ২০১৩ সালে হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পান। এই ভালো ফল তাঁর পরিবারে আনন্দ এনে দিতে পারেনি। কারণ কলেজে পড়া নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন তাঁর পরিবার। কোথায় ভর্তি হবেন, খরচ কোথা থেকে আসবে ইত্যাদি নানা চিন্তা ভর করে মাথায়।

এমতাবস্থায় প্রথম আলোর স্থানীয় প্রতিনিধি তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন পাঠান প্রথম আলোয়। পরে তাঁর পারিবারিক অবস্থা ও অদম্য মেধাকে বিবেচনায় নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। এই শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনা করেন এবং চূড়ান্ত পরীক্ষায় আবারও ভালো ফল করেন। তাঁকে আবারও স্নাতক পর্যায়ে ৪বছরের জন্য শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনা হয়। তাঁর সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ আরেকটু মসৃণ হয়। নির্ভার হয়ে শুরু করেন স্নাতকে ভর্তির প্রস্তুতি।

অদম্য মেধাবী প্রিয়াংকা নাসরিন।

উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর শুরু হয় স্নাতকে ভর্তিযুদ্ধ। প্রথম বছর কারমাইকেল কলেজে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। পরে ২০১৬-১৭ সেশনে ‍পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। এই বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) শেষ করেন। সম্প্রতি তাঁর ফল প্রকাশ হয়। তিনি সিজিপিএ-৩.৫২ পেয়ে প্রথম শ্রেণি অর্জন করেন।

প্রিয়াংকা জানান,আমি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ থেকে সিজিপিএ-৩.৫২ পেয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছি। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ব্র্যাক ব্যাংক ও প্রথম আলোর প্রতি। আমাকে এসএসসি থেকে গ্র্যাজুয়েশন পর্যন্ত আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য। আপনারা আমার পাশে না থাকলে হয়তো এত দুর আসতে পারতাম না। আপনাদের এই কৃতজ্ঞতা সারা জীবন মনে রাখব। আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।