‘পড়াশোনা শেষ করে পরিবারের হাল ধরব’

অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত মো.ফেরদাউস ইসলাম।

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপায় বাড়ি মো.ফেরদাউস ইসলামের। তিন ভাইয়ের মধ্যে মেজো। নিজেদের বসতভিটা ও সহায়-সম্পদ বলতে কিছুই নেই। বাবার রোজগারে সংসার চলত না। কতদিন উপোস থাকতে হয়েছে তার হিসেব নেই। তবুও থেমে যাননি ফেরদাউস। নিরলসভাবে পড়াশোনা করে গেছেন। এভাবে কঠোর পরিশ্রম করে ২০১০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান। ভালো ফল করেও দু:শ্চিন্তা পিছু ছাড়েনি তাঁর। কিভাবে কলেজে ভর্তি হবেন, পড়াশোনাই বা চালাবেন কিভাবে! পরে প্রথম আলোর স্থানীয় প্রতিনিধির সহযোগিতায় বৃত্তির জন্য আবেদন করেন প্রথম আলো ট্রাস্টে। তাঁর পারিবারিক অবস্থা ও অদম্য মেধাকে বিবেচনায় নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তির জন্য নির্বাচন করা হয়। চোখের সামনে থেকে কেটে যায় জমে থাকা মেঘ।

বৃত্তির জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হলে নিয়মিত ক্লাস ও পড়াশোনা করেন তিনি। ফলে এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ অর্জন করেন। স্নাতক পর্যায়েও অব্যাহত রাখা হয় ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি। মনোবল আরও শক্ত হয় তাঁর। ভালোভাবে পড়াশোনা করে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। অর্থনীতি বিষয়ে ভালো ফলাফল করে স্নাতক (সম্মান) শেষ করেছেন। বর্তমানে একই বিভাগে স্নাতকোত্তর পড়ছেন, পাশাপশি চাকরির প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে জানান ফেরদাউস।

মো.ফেরদাউস ইসলাম বলেন, ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি সহযোগিতার কারণে পড়াশোনা করেছি। তাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ। পড়াশোনা শেষ করে পরিবারের হাল ধরব।’