পার্বতীপুরের অদম্য রিতা স্নাতকে পেলেন প্রথম শ্রেণি

দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের মেয়ে রিতা আক্তারের বাবা পেশায় একজন রিকশাচালক ছিলেন। ২০১৩ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে সফলতার সঙ্গে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও একটা দুশ্চিন্তা ছিল, এরপর কি হবে? বিজ্ঞান বিভাগে পাস করে, এত ভালো ফলাফল করেও কি পড়াশোনা থেমে যাবে? তখনই ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হন রীতা। চলতে থাকে তাঁর পড়াশোনা। এইচএসসিতে আবারও জিপিএ-৫ পেয়ে মেধার পরিচয় রাখেন তিনি। এরপর আবারও স্নাতক পর্যায়ে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হন। সম্প্রতি তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগ থেকে সিজিপি-৩.৫৭ নিয়ে ৭ম স্থান অধিকার করে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করেছেন।

স্নাতকের ফল প্রকাশের পর ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী ফেসবুক গ্রুপের সকল শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে গ্রুপে একটি স্ট্যাটাস দেন রিতা। সেখানে তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগ থেকে ৩.৫৭ পেয়ে ৭ম স্থান অধিকার করে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করলাম। সকল প্রশংসা আল্লাহ তা'য়ালার। ২০২০ এর প্রথমাংশে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২১শের ডিসেম্বরে শেষ হলো।’

অদম্য মেধাবী রিতা আক্তার

তিনি আরও বলেন, ‘ব্র্যাক ব্যাংক ও প্রথম আলোর প্রতি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনারা না থাকলে এত দুর কোনো দিন আসতে পারতাম না। হয়তো এসএসসি পাস করে অন্য কোথাও থাকতাম। আপনাদের এত বড় সহযোগিতা আমার চলার পথকে মসৃণ করেছে। ২০১৩ -২০১৯ সাল পর্যন্ত আপনাদের সহযোগিতার হাত আমি আমার জীবনে কখনো ভুলব না। কীভাবে আপনাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে বুঝতে পারছি না। আমার জন্য দোয়া করবেন।’

উল্লেখ্য প্রথম আলো ট্রাস্টের অন্যতম প্রধান কর্মসূচি 'প্রথম আলো ট্রাস্ট-অদম্য মেধাবী তহবিল' দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মেধাবী শিক্ষার্থীরা যারা প্রতিকূল জীবনসংগ্রামের পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রথম আলো অদম্য মেধাবী বলে থাকে। এই সকল অদম্য মেধাবীদের সফলতা ও সংগ্রামের খবর প্রকাশ করার পাশাপাশি তাদের জন্য কিছু করার ভাবনা থেকেই এই শিক্ষাবৃত্তির উদ্যোগ। ব্র্যাক ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যক্তি পর্যায়ের সহায়তায় এখন পর্যন্ত ১০৩৬ জন দরিদ্র, মেধাবী শিক্ষার্থী এই শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছেন।