ফেনী জেলার কুটিরহাট গ্রামের অদম্য মেধাবী লিঙ্কন চন্দ্র ঘোষ। ছোট থেকে নানা প্রতিকূলতা দেখেছেন। অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে গেছেন। তিনি ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী’ শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করেছন।
লিঙ্কন তাঁর পথ চলার বিষয়গুলো জানালেন এভোবে, 'প্রথম আলোকে আমার পাশে পাই ২০১০ সালে যখন আমার এসএসসি রেজাল্ট হয়। আমার পরিবারে আর্থিক অসচ্ছলতা ছিল। বাবা অসুস্থ। পরিবারের পক্ষে আমার পড়াশোনা করানো কষ্টসাধ্য ছিল। বাবা-মার ইচ্ছা শক্তিটা ছিল কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে পারতেন না তাঁরা। ২০১০ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর প্রথম আলো স্থানীয় প্রতিনিধি আমাকে খুঁজে বের করেন। আমাকে নিয়ে প্রতিবেদন লেখেন। প্রতিবেদন দেখে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত করা হয় আমাকে। এরপর আমার পথ চলা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। এ বৃত্তি পেয়ে পরবর্তীতে ২০১২ সালে এইচএসসিতে কৃতিত্ব ধরে রেখে স্নাতক পর্যায়েও বৃত্তি পাই। তখন অনেকটা নির্ভার হই আমি।’
লিঙ্কন আরও জানালেন, ‘বৃত্তি পাওয়ার পর নিশ্চিন্ত মনে পড়াশোনা চালাই। ভালো করে পড়াশোনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমসে ভর্তির সুযোগ অর্জন করি। পরে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের ১৯ তারিখে কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স অডিটর হিসেবে যোগাদান করি। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে জনতা ব্যাংক লিমিটেডে সিনিয়র অফিসার পদে যোগদান করি। আসলে পড়াশোনা করা এবং এই যে চাকরি করছি এখানে প্রথম আলোর অবদান অনেক বেশি। এজন্য ব্র্যাক ব্যাংক ও প্রথম আলোর কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। তাদের অনেক ধন্যবাদ।তবে একটা কথা সত্যি, পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই।’