আমাকে নিয়ে পাড়া-প্রতিবেশীরাও গর্ববোধ করেন
প্রথম আলো ট্রাস্টের সহযোগিতায় সফলতা অর্জনকারী এক অদম্য মেধাবী মো. রাকিব কাজী । তিনি কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজের (মানিকগঞ্জ) পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী।
মো. রাকিব কাজী । গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার গোহালায় বাড়ি । ৪ ভাই ৩ বোন। সবার ছোট রাকিব। বাবা অসুস্থ, স্ট্রোক করেছেন, কাজ করতে পারেন না। মা গৃহিনী। এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পুরান ঢাকার একটা মুদির দোকানে হিসাব রাখার কাজ নেন রাকিব । এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ পান। বৃত্তির জন্য আবেদন করেন প্রথম আলো ট্রাস্টে। পরে তাঁর পারিবারিক অবস্থা ও অদম্য মেধাকে বিবেচনায় নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তির জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হলে দোকানের কাজ ছেড়ে নিয়মিত ক্লাস ও পড়াশোনা করেন। এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পান। পুনরায় বৃত্তি অব্যাহত থাকে। পরে ভালো করে পড়াশোনা করে কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তির সুযোগ পান।
মো. রাকিব কাজী জানান, প্রথম আলো ট্রাস্টের বৃত্তির টাকায় পড়াশোনা করছি। ফাইনাল ইয়ার শেষ করে বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিব।
মা-বাবা ও প্রতিবেশীদের অনুভূতি কেমন জানতে চাইলে তিনি জানান, 'বাবা-মা অনেক খুশি। সব সময় গর্ববোধ করেন। পাড়া-প্রতিবেশীরাও গর্ববোধ করেন আমাকে নিয়ে। অনেক ভালো লাগে।'