নাটোরের ওমর ফারুক চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চান। পরিবারের অর্থ সংকটের কারনে শিক্ষাজীবনে সমস্যায় পড়েছেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি। টিউশনি করে অদম্য ওমর ফারুক ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়েছেন। ভবিষ্যতে চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চান তিনি।
বাবা, মা ও দুই ভাই মিলে ওমর ফারুকদের ছিল সুখের সংসার। বড় ভাই রেজওয়ান আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। হঠাৎ বর্গাচাষি বাবা মকবুল হোসেন (৬০) অসুস্থ হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েন । সংসার চালানোর ভার পড়ে মায়ের ওপর। বাড়িতে হাঁস-মুরগি ও ছাগল পুষে যা আয় হয়, তা দিয়ে তিন বেলার খাবার জোটে না। এসব প্রতিকূলতার মধ্যেই ফারুক নাটোরের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় পান জিপিএ–৫। টিউশনি করে পরিবারকে সহযোগিতা করেছেন তিনি, পাশাপাশি মন দিয়ে করেছেন পড়ালেখা। তার ফলও পেয়েছেন ওমর ফারুক। নাটরের নবাব সিরাজ–উদ–দৌলা সরকারি কলেজ থেকে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় পেয়েছেন জিপিএ–৫।
কথা প্রসঙ্গে ওমর ফারুক বলেন, ‘বাবা অসুস্থ হওয়ার পর আমাদের দুই ভাইয়ের পড়ালেখা চালানো নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এই সময় মা পরিবারের হাল ধরেন। কঠোর পরিশ্রম করে পরিবারের খরচ জোগাড় করছেন। মা পরিবারের হাল না ধরলে আমি এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না। ভবিষ্যেতে চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চাই। আর আমি বিশ্বাস করি শিক্ষার শক্তিতে যে কোন প্রতিকূলতা জয় করা যায়।’
উল্লেখ্য, ভালো ফলাফল বিবেচনায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম আলো ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় বার্জার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরীর সহযোগিতায় শিক্ষাবৃত্তি পান ওমর ফারুক।