সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থী আওলাদ হোসেন। দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে এগিয়েছেন, হয়েছেন চিকিৎসক। ৪২ তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সহকারী সার্জন হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে নিজ উপজেলা ধর্মপাশায় মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। স্বপ্ন তাঁর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হওয়ার। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে পরীক্ষায় বসেন এফসিপিএস কোর্সে। সম্প্রতি প্রকাশিত ফলে এফসিপিএস (মেডিসিন) পার্ট-১ পাস করেছেন তিনি।
আওলাদ হোসেন বলেন, ‘ভবিষ্যতের সফলতা অতীত থেকেই তৈরি হয়। পরিশ্রম, মা বাবার দোয়া, পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীর দোয়া… আরও অনেক কিছুর জন্যই আজকের এ সফলতা আমার।’
অদম্য মেধাবী আওলাদ হোসেনের বাবা মারফত আলী কৃষক ছিলেন, মা জমিলা আক্তার গৃহিণী। দরিদ্র পরিবার। কৃষি কাজ করে কোনোমতে সংসার সংসার চলত তাঁদের। অভাব-অনটনের সংসারে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াই কঠিন ছিল আওলাদের জন্য। দারিদ্র্যের কারণে বড় ভাই পড়াশোনা করতে পারেনি। কিন্তু দমে যাননি আওলাদ। কঠোর পরিশ্রম করে ২০১০ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পান। প্রথম আলোর প্রতিনিধি তাঁদের বাড়িতে যান, ছবি তোলে নেন। পরে এই সাফল্য নিয়ে প্রথম আলোয় ‘কুপিতে তেল ছিল না, আওলাদ পড়েছে দিনের আলোয়’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাঁর মেধা, পরিবারের অবস্থা বিবেচনায় পাশে দাঁড়ায় ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিল। পরে আর লেখাপড়ার খরচ চালাতে পিছু তাকাতে হয়নি। এইচএসসি ও এমবিবিএস পর্যায়ে শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যান। প্রতিটি স্তরে সফলও হন তিনি।