চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহীন সুলতানা। ভবিষ্যতে ভালো ফলের পাশাপাশি সুশিক্ষিত ও সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চান তিনি। শাহিন সুলতানার জন্ম মহেশখালীর ধলঘাটায়। জলোচ্ছ্বাসে শাহিনদের ঘরবাড়ি বিলীন হলে তাঁদের পুরো পরিবার কক্সবাজার শহরের সাহিত্যিকা পল্লিতে চলে আসে। শহরের বড়বাজার এলাকার বাবা কামাল উদ্দিনের ছোট্ট একটি পানের দোকান আছে। সারা দিন খিলি পান বিক্রি করে যে আয় হয় তা দিয়ে কোনোরকমে সংসার চালান তিনি। পাঁচ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ শাহিন সুলতানা ছোট বেলা থেকেই মেধাবী ছিল। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকেও উত্তীর্ণ হন জিপিএ-৫ পেয়ে। এসএসসিতে অসাধারণ ফলাফলের পর উচ্চমাধ্যমিকের দুই বছর শাহিনের লেখাপড়ার আর্থিক খরচের দায়িত্ব নেয় ব্র্যাক ব্যাংক – প্রথম আলো ট্রাস্ট।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত আসতে আমাকে খুব পরিশ্রম করতে হয়েছে। বাবা–মা, শিক্ষকদের অক্লান্ত শ্রম আমকে এ পর্যন্ত আসতে সহযোগিতা করছে। প্রথম আলো ট্রাস্ট আমার পাশে ছিলো, এখন মেডিকেল কলেজে পড়তেও সহযোগিতা করছে। আমার চলার পথকে সহজ করছে ব্র্যাক ব্যাংক–প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষা বৃত্তি। চিকিৎসক হয়ে আমি সত্যিকার অর্থে মানুষের সেবা করতে চাই।’