বাবার মুখে হাসি ফোটালেন অদম্য মেধাবী নাদিয়া ইসলাম
নাটোরের লালপুর উপজেলার সফিকুল ইসলাম সকাল সকাল কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। প্রতিদিন দিনমজুরি পেতেই হবে। না হলে থমকে যাবে তিন কন্যার লেখাপড়া। সফিকুল ইসলামের দ্বিতীয় কন্যা নাদিয়া ইসলাম সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
নাদিয়া ইসলাম ২০২০ সালে লালপুর পাইলট গার্লস হাইস্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ভালো ফল করা সত্ত্বেও আর্থিক অসঙ্গতির কারনে কলেজে পড়া নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। ভালো ফলাফল বিবেচনায় নাদিয়া ‘ব্র্যাক ব্যাংক– প্রথম আলো ট্রাস্ট’ অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত হন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও ধরে রাখেন সাফল্য। এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উজ্জ্বল করেন পরিবারের মুখ। নাদিয়া ইসলামে বড় বোন সাদিয়া ইসলাম চার্টার্ড অ্যাকান্ট্যান্সি পড়ছেন। ছোটবোন আদৃতা ইসলাম এবছর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
বাবার মুখে হাসি ফোটাতে পের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নাদিয়া বলেন, ‘বাবার স্বপ্ন ছিল আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বো। প্রথমবার কোথাও ভর্তির সুযোগ হয়নি। আশাহত হয়েছিলাম কিন্তু হাল ছাড়িনি। এবার সুযোগ হলো, আমি খুব খুশি। ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট’ আমাকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বৃত্তি দিয়েছে।আমি এই দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে কৃতজ্ঞ। শিক্ষাবৃত্তি না পেলে আমি এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না।’
উল্লেখ্য, নাদিয়া ইসলামের স্বপ্নপূরণের পথে আবারও পাশে দাঁড়িয়েছে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট’ অদম্য মেধাবী তহবিল। তিনি স্নাতক পর্যায়েও এই শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।