প্লাস্টিক দূষণরোধ নিয়ে গবেষণার আগ্রহ পূজা রানী ভদ্রর
পূজা রানী ভদ্রের বাড়ি রাজবাড়ীর সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের সিংড়া গ্রামে। নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট আব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। অনুরণ-প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি সহায়তায় পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিবেশ দূষণের ওপর বিশেষ করে প্লাস্টিক দূষণরোধ নিয়ে গবেষণার কথা জানালেন পূজা। ইতিমধ্যে প্লাস্টিক দূষণ তথা মাইক্রো প্লাস্টিক নিয়ে কাজ করছেন। অনেকগুলো পরিবেশবাদী সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত আছেন। মানুষকে সচেতন করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এই শিক্ষার্থী।
তিন বোন আর মাকে নিয়ে পূজার পরিবার। তিন বোনের মধ্যে পূজা সবার ছোট। বড় ২ বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। বাবা পানের বরজে কাজ করতেন। কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে প্রায় তিন বছর আগে তিনি মারা যান। মা গৃহিণী। ক্যানসারের ব্যয়বহুল চিকিৎসা খরচ মেটাতে পূজার পরিবারের সমস্ত সঞ্চয় শেষ হয়েছে। তারপরও থেমে যাননি পূজা। নিজের একাগ্রতা ও ইচ্ছায় পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন। এভাবে রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৪.৬১ এবং রাজবাড়ী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পান। পরে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ক' ইউনিটে পূজার অবস্থান ছিল ৫৪৯৮ তম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান ১২৪০ তম। পরে বিষয় বিবেচনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট আব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগে ভর্তি হন। এখন দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে পরিবেশের ওপর কাজ করার ইচ্ছা আছে তাঁর।
স্বপ্নবাজ পূজা জীবনে নানা প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন। তাঁদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার পাশাপাশি তথ্য ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করা এবং একাডেমিক কাজে সহায়তার জন্য ২৮ জুন প্রথম আলো কার্যালয়ে ল্যাপটপ প্রদান করা হয়েছে। অনুরণের সহায়তায় বৃত্তি পাওয়া ৮ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে এই ল্যাপটপ। মহতী উদ্যোগে প্রথম আলো ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য অনুরণের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।