অদম্য ইয়ামি আক্তার মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার খাটুরিয়া গ্রাম থেকে ইয়ামি আক্তারের স্কুলের দূরত্ব ছিল তিন কিলোমিটার। যাওয়া আসা মিলে ছয় কিলোমিটার পথ সাইকেল চালিয়ে স্কুল যাওয়া আসা করতেন ইয়ামি। কোন দিন জলখাবার জুটেছে কোনদিন জোটেনি। কিন্তু শিক্ষার পথে থেকে বিচ্যুত হননি তিনি। অদম্য মনোভাব, কঠোর পরিশ্রমের ফলও পেয়েছেন ইয়ামি। ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে (অস্বচ্ছল মেধাবী কোটায়) পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

ইয়ামির বাবা  ইদ্রিস আলী পেশায় দিনমজুর। অন্যের জমিতে সকাল–সন্ধ্যা শ্রম দিয়ে পরিবারের ব্যায়  নির্বাহ করেন। ২০২১ সালে দেবীগঞ্জ অলদিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ–৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন ইয়ামি। কিন্তু আর্থিক অসঙ্গতির কারনে কালেজে পড়া নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এসময় ‘ব্র্যাক ব্যাংক– প্রথম আলো ট্রাস্ট’ অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি পায় ইয়ামি আক্তার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্র্যাক ব্যাংক– প্রথম আলো ট্রাস্ট থেকে শিক্ষাবৃত্তি না পেলে আমি রংপুর সরকারি কলেজে পড়তে পারতাম না।’

 বৃত্তিপ্রাপ্ত ইয়ামি ভালো ফলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ– ৫  পান তিনি। সম্প্রতি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে অস্বচ্ছল মেধাবী কোটায় বেসরকারি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন । সরকারি মেডিকেল কলেজের খরচে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটিতে পড়শোনা করতে পারবেন  ইয়ামি।  

উল্লেখ্য, ইয়ামি আক্তারের স্বপ্নপূরণের পথে আবারও পাশে দাঁড়িয়েছে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট’। তিনি স্নাতক পর্যায়েও এই শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।