সামাউল ইসলাম ছোটবেলায় বাবাকে সবজি বিক্রিতে সহযোগিতা করেছেন। পরিবারে আর্থিক অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী; কিন্তু পড়াশোনার পথ থেকে কখনো বিচ্যুত হননি তিনি। কঠোর পরিশ্রম করে হয়েছেন সফল। এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বাজেবামনদাহ গ্রামের সামাউল ইসলাম পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পান জিপিএ-৫ । এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে সবজি বিক্রি করেছি। এসএসসিতে ভালো ফল করার পরও কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। প্রথম আলো ট্রাস্ট থেকে বৃত্তি পাওয়ায় উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনায় তেমন অসুবিধা হয়নি। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।’
সামাউলের বাবা তাজির উদ্দিন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। এক চোখে তিনি দেখেন না। বর্তমানে ভ্যানে করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে তিনি পাপড় বিক্রি করেন। স্বল্প আয়ে তাঁর পক্ষে পরিবারের ব্যয় মেটানো প্রায় সম্ভব হয় না।
উল্লেখ্য, কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পায় সামাউল ইসলাম। ভালো ফলাফল বিবেচনায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম আলো ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় বার্জার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরীর সহযোগিতায় শিক্ষাবৃত্তি পান তিনি।