অদম্য জাকির মায়ের স্বপ্নপূরণ করতে চান

জাকির হোসেন বর্তমানে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অনার্স প্রথব বর্ষে পড়াশোনা করছেন।

চৌরাপাড়া গ্রাম থেকে নওগাঁর নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের দূরত্ব ১৭ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নিয়মিত কলেজ করেছেন জাকির হোসেন। করোনকালে কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। পরিবারিক আর্থিক অনটনও  ছিলো নিত্যসঙ্গী কিন্তু পড়াশোনার পথ থেকে কখনো বিচ্যুত হননি অদম্য জাকির হোসেন। অপরাজেয় মনোভাবের কারনে শত বাধা পেরিয়ে এসএসসি ও এইসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়ে উত্তীর্ণ জাকির বর্তমানে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছেন।

এ প্রসঙ্গে জাকির হোসেন বলেন, ‘নিজেদের বলতে চারকাঠা কৃষি জমি ছাড়া আমাদের আর কোন সম্বল নেই। বড় ভাই আমার পড়ালেখায় সহযোগিতার জন্য রাজমিস্ত্রির কাজ করেছেন। অনেক বধাবিপত্তি পেরিয়ে আমি পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। যখনই আশাহত হই শুধু মায়ের কথাগুলো স্মরণ করি, আমার মা জাকেরা বেগম বলেন, শিক্ষা ছাড়া আমাদের মুক্তি নেই। শিক্ষার পথ ধরেই পরিবারিক সঙ্কট থেকে মুক্তি মিলবে। আমি মায়ের স্বপ্নপূরণের জন্য সংগ্রাম করছি।

জাকির হোসেন সোনাইচন্ডী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে জিপিএ–৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ভালো ফলাফল বিবেচনায় জাকির ‘ব্র্যাক ব্যাংক– প্রথম আলো ট্রাস্ট’ অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত হন। নিয়ামতপুর সরকারী কলেজ থেকে ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষাতেও জিপিএ–৫ পেয় উত্তীর্ণ হন জাকির।

পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যায়নরত জাকির হোসেন স্বপ্ন দেখে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অনার্স–মাস্টার্স সম্পন্ন করে দেশের বাইরে উচ্চতর পড়াশোনায় যুক্ত হবেন। শিক্ষার পথ ধরেই নিজের ও পরিবারের ভাগ্যের চাকা ঘোরাবেন।

উল্লেখ্য, জাকির হোসেনের স্বপ্নপূরণের পথে আবারও পাশে দাঁড়িয়েছে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট’। তিনি স্নাতক পর্যায়েও এই শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।