অদম্য মেধাবী রাজা তালুকদারের বাড়ি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের হাতপাটন গ্রামে। বাবা পীযুষ তালুকদার গ্রাম পুলিশের দফাদার। মা বীনা রানী তালুকদার গৃহিণী। বাবা চাকরি করে যা বেতন পান তা দিয়ে সংসার চলে না। তাই অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেন। আর তা দিয়ে দুবেলা কোনোরকমে খেয়ে না খেয়ে চলে তাঁদের পাঁচ সদস্যের সংসার। সুযোগ পেলেই বাবার সেই কৃষি কাজে সহায়তা করেন মেধাবী শিক্ষার্থী রাজা তালুকদার। এভাবে ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় তিনি ধরমপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা মমিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় জিপিএ-৫ পান। পরে তাঁকে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনা হয়।
এই সফলতার পেছনে যারা ছিলেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ‘ব্র্যাক ব্যাংক - প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিল’ আমাকে এসএসসির পর থেকে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। স্নাতক পর্যায়েও আমার পাশে থাকবে। এটা আমাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করতে সহায়তা করেছে— বললেন রাজা।
তহবিলের বৃত্তি সহায়তায় ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় এইচএসসি পড়াশোনা শুরু করেন। বোর্ড পরীক্ষায় আবারও সাফল্য ধরে রাখেন। এরপর শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যুদ্ধ। সেখানেও সফলতার স্বাক্ষর রাখলেন রাজা। ২০২২-২৩ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৫০৯ তম হন। ভর্তি হন বিবিএ (ব্যবস্থাপনা) বিভাগে। এখন স্বপ্ন দেখেন ভালো ফল করে ব্যাংক কর্মকর্তা কিংবা বিসিএস ক্যাডারভুক্ত হওয়ার। উল্লেখ্য, রাজা তালুকদারকে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনার জন্যও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করবে এই তহবিল।
রাজা জানালেন, ‘এই সফলতার পেছনে যারা ছিলেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ব্র্যাক ব্যাংক - প্রথম আলো ট্রাস্ট আমাকে এসএসসির পর থেকে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। স্নাতক পর্যায়েও আমার পাশে থাকবে। এটা আমাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করতে সহায়তা করেছে। যার কারণে আমি ভালো করে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পেরেছি এবং ভালো ফল করতে পেরেছি।’