উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে দেশের জন্য অবদান রাখতে চায় রাব্বি হাসান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত রাব্বি হাসান।

কঠিন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন রাব্বি হাসান। ধার দেনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও পড়াশোনার জন্য থাকা ও খাওয়ার ব্যয় বহন করার সামর্থ্য ছিলনা তাঁর পরিবারের। অনুরণ-প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি সহায়তায় পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন(৫৫) এর ছেলে রাব্বি হাসান ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে ভর্তি হন। ছোট বেলা থেকেই মেধার স্বাক্ষর রেখে প্রতিটি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন তিনি। তাঁর বাবা আলমগীর হোসেন একটি কেজি স্কুলের শিক্ষার্থী পরিবহনের লেগুনার চালক।

রাব্বি হাসানের বাবা আলমগীর হোসেন জানান, ' আমার ছেলে খুব মেধাবী। এসএসসি ও ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলো। এরপর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়। অনেক কস্টে ধার দেনা করে তাঁকে ভর্তি করিয়েছি। প্রথম আলো ট্রাস্টের সহযোহীতায় তার পড়াশোনা চলছে। এই জন্য তাদের প্রতি আমার পরিবার কৃতজ্ঞ।' মুঠোফোনে রাব্বি হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি বর্তমানে মেসে আছি। এখানে অনেক খরচ।অনুরণ-প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি সহায়তায় পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। তারা আমার পাশে না দাঁড়ালে আমার পক্ষে পড়াশোনা করা সম্ভব ছিল না। আমার স্বপ্ন উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে দেশের জন্য কিছু করা।

রাব্বি হাসানের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন প্ল্যানেটারি হেলথ অ্যাকাডেমিয়ার (পিএইচএ) ট্রাস্টি ওমর শরীফ। এ সময় অন্যান্য অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন। গত ২৮ জুন কারওয়ান বাজারের প্রথম আলো কার্যালয়ে।

স্বপ্নবাজ রাব্বি হাসান জীবনে নানা প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন। তাঁদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার পাশাপাশি তথ্য ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করা এবং একাডেমিক কাজে সহায়তার জন্য ২৮ জুন প্রথম আলো কার্যালয়ে ল্যাপটপ প্রদান করা হয়েছে। অনুরণের সহায়তায় বৃত্তি পাওয়া ৮ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে এই ল্যাপটপ। মহতী উদ্যোগে প্রথম আলো ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য অনুরণের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।