অদম্য জুনিয়া নাসরীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন

অদম্য মেধাবী জুনিয়া নাসরীন।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জুনিয়া নাসরীন প্রতিদিন তিন কিলোমিটার পথ সাইকেল চালিয়ে স্কুল যাওয়া আসা করতেন। কোন দিন সকালে খাবার জুটেছে কোনদিন জোটেনি। কিন্তু শিক্ষার পথে থেকে বিচ্যুত হননি। অদম্য মনোভাব, কঠোর পরিশ্রমের ফলও পেয়েছেন জুনিয়া। বাধা পেরিয়ে ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। শিক্ষার পথ ধরেই ভবিষ্যতে পরিবার ও দেশের কল্যাণে কাজ করতে চান তিনি।

জুনিয়ার বাবা জাকিরুল পেশায় দিনমজুর। কোনদিন ঠিকা শ্রমিকের কাজ জোটে কোন দিন জোটেনা। উদয়–অস্ত পরিশ্রম করেও পরিবারের অভাব দূর হয় না। এদিকে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো জুনিয়া ২০২১ সালে দেবীগঞ্জ অলদিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ–৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। কিন্তু আর্থিক অসঙ্গতির কারনে কালেজ পড়া নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এসময় ‘ব্র্যাক ব্যাংক– প্রথম আলো ট্রাস্ট’ অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি পায় জুনিয়া নাসরীন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্র্যাক ব্যাংক– প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি না পেলে রংপুর সরকারি কলেজের  হোস্টেলে থেকে আমার পড়াশোনা করা সম্ভব হতো না। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা।’

বৃত্তিপ্রাপ্ত জুনিয়া ভালো ফলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ– ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৬৬৪তম) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (৯১৩তম) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পড়ালেখা শেষ করে ভবিষ্যতে বিসিএস ( প্রশাসনে) চাকরি করতে চান অদম্য জুনিয়া নাসরিন।

উল্লেখ্য, জুনিয়া নাসরীনের স্বপ্নপূরণের পথে আবারও পাশে দাঁড়িয়েছে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট’। তিনি স্নাতক পর্যায়েও এই শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।