অদম্য পিন্টু বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চান
পিন্টু বিশ্বাস পড়াশোনার পাশাপাশি শিখে নেন নরসুন্দরের কাজ। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা তিন বছর নরসুন্দর পেশায় বাবাকে সহযোগিতা করেছেন। পাশাপাশি রাত জেগে করেছেন পড়াশোনা। কঠোর পরিশ্রমের ফলও পেয়েছেন তিনি। ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি।
বদরগঞ্জের রাধানগর ইউনিয়নের পাঠনপাড়ার বাসিন্দা পিন্টু বিশ্বাস। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ছিলেন মনোযোগী। কিন্তু পরিবারের অভাব–অনটনের কারনে পড়াশোনা ব্যহত হচ্ছিল। পিন্টুর বাবা বলরাম পেশায় নরসুন্দর। তাঁর স্বল্প আয়ে পরিবারের অভাব দূর হয়না। পিন্টু বিশ্বাস পরিবারের আয় বাড়াতে পড়াশোনার পাশাপাশি শিখে নেন নরসুন্দরের কাজ। দিনের বেলা ঘন্টার পর ঘন্টা বাবার পেশায় সহযোগিতা করেছেন আর রাত জেগে পড়াশোনা। কঠোর পরিশ্রমের ফলও পেয়েছেন তিনি। বদরগঞ্জের পাঠানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে জিপিএ –৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় পিন্টু। ভালো ফলের ধারাবাহিকতা বাজায় থাকে এইচএসসিতেও। ২০২৩ সালে খোলাহাটি ডিগ্রি কলেজ থেকে জিপিএ–৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে পিন্টু বিশ্বাস বলেন, আমার আর এক ভাই ও দুই বোন বর্তমানে পড়ালেখা করছেন। আমাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার কাজে সহযোগিতা করেছি। এসএসসিতে ভালো ফল করার পরও আমার কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিলো। সেই সময়ে আমি ব্র্যাক ব্যাংক– প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি পাই। এই বৃত্তি না পেলে আমি এতদূর পর্যন্ত আসতে পারতাম না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যায় ভর্তির সুযোগ পাওয়া পিন্টু বিশ্বাস জীবনের লক্ষ্য নুতনভাবে নির্ধারণ করেছেন। তিনি ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।
উল্লেখ্য, পিন্টু বিশ্বাসের স্বপ্নপূরণের পথে আবারও পাশে দাঁড়িয়েছে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট’। তিনি স্নাতক পর্যায়েও এই শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।