চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে নেপালের

ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী নেপাল চন্দ্র বর্মন।

ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী নেপাল চন্দ্র বর্মন এখন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্জারি অ্যান্ড অবস্টেট্রিক্স ডিপার্টমেন্টে সার্জারি (ডিভিএম) বিভাগে মাস্টার্স করছেন। পাশাপাশি পরিচিত কেউ হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগলসহ অন্যান্য পশুপাখির সমস্যার কথা জানালে তাদের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকেন। কী ধরনের চিকিৎসা দেন জানতে চাইলে নেপাল চন্দ্র বলেন, ‘মিরপুরের জাতীয়  চিড়িয়াখানা, সাভারের মিলিটারি ডেইরি ফার্ম ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের খ্যাতনামা অনেক ভেটেরিনারি হসপিটালে স্নাতকের জন্য ইন্টার্নি করেছি। চিড়িয়াখানায় গয়াল, মায়া হরিণসহ অন্যান্য পশুপাখির চিকিৎসা দিয়েছি।’ 

ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী নেপাল চন্দ্র বর্মন।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাটিতাকান্দি গ্রামে নেপাল চন্দ্র বর্মনের বাড়ি। জেলেপাড়ার  পরিবারের সন্তান তিনি। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবা হারান তিনি। মা গৃহিনী। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে নেপাল সবার ছোট। বোনের বিয়ে হয়েছে, বড় ভাই সংসার চালান। তাদের জমিজমা নেই। পরিবারের এ অবস্থায় এসএসসি পরীক্ষার আগ পর্যন্ত পরিবার ও নিজের পড়াশোনার খরচ মেটাতে করেছেন নানা কাজ। ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পান তিনি। ২০১৩ সালে ভূঞাপুরের ইব্রাহীম খাঁ কলেজ থেকে এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পান।

ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী নেপাল চন্দ্র বর্মন।

সার্বিক বিচারে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তির আওতায় নেপাল চন্দ্রকে এইচএসসি  ও স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়। এসএসসি পরীক্ষায় পাস করার পর তিনি চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটরেনারী সায়েন্স  (ডিভিএম) বিভাগে স্নাতক শেষ করে  সার্জারি অ্যান্ড অবস্টেট্রিক্স ডিপার্টমেন্টে সার্জারি (ডিভিএম) বিভাগে মাস্টার্স করছেন।