রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ-লক্ষীপুর গ্রামের মেয়ে মোছা. রুমানা খাতুন। বাবা আনারুল ইসলামের নিজের আবাদি জমি নেই। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করেন। কখনো করেন দিনমজুরি। এতে আয় হয় তা দিয়ে ছয় সদস্যের সংসার ঠিকমতো চলে না। তাই রুমানাকে টিউশনি করে পড়ার খরচ জোগাতে হয়েছে। এভাবে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ইকরচালী উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পায়। পরে পড়াশোনার প্রতি তাঁর অদম্য আগ্রহ ও পারিবারিক অসচ্ছলতা বিবেচনায় ব্র্যাক ব্যাংক ও প্রথম আলো ট্রাস্টের অপরাজেয় তারা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। এই শিক্ষাবৃত্তির সহায়তায় পড়াশোনা করে এ বছর এইচএসসিতে সাফল্য ধরে রেখেছেন রুমানা। তিনি এ বছর অনুষ্ঠেয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্য ধরে রেখেছেন।
রুমানা এই সাফল্যে বেশ খুশি হয়েছেন তাঁর বাবা-মা ও পরিবারের লোকজন। তাঁরা চান ভালো করে পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। দুই ভাইবোনের মধ্যে রুমানা খাতুন বড়। রুমানার ছোট ভাইও ভালো ছাত্র। এখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে।
রুমানা সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি বর্তমানে রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করছেন। স্বপ্ন তাঁর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি কিংবা অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হওয়ার। পরে বিসিএস দিয়ে শিক্ষক হওয়া ইচ্ছা পোষণ করলেন। একই সঙ্গে মানুষের মতো মানুষ হয়ে অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান। শেষে ধন্যবাদ জানালেন ব্র্যাক ব্যাংক প্রথম আলো ট্রাস্টকে তাঁর পাশে থাকার জন্য।’