সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা অদম্য মেধাবী নাজমিন বেগম সাহস ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সব প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে সফল হয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করছেন তিনি। ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে এইচএসসি ও এমবিবিএস পর্যায়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে নিজের কলেজ সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজে ইনডোর মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। সম্প্রতি চিকিৎসাবিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক ডিগ্রি এমআরসিপিসিএইচ পার্ট-১ (স্নাতকোত্তর পরীক্ষা) পাস করছেন তিনি।
ডা. নাজমিন জানালেন, মেম্বারশিপ আব দ্য রয়্যাল কলেজ আব পেডিয়াট্রিকস অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ (এমআরসিপিসিএইচ) লন্ডনের রয়্যাল কলেজের বিশেষায়িত একটা ডিগ্রি যেটাতে মোট ৩টা পার্ট থাকে। তিনটা পার্টে পরীক্ষা দিতে হয়। অনলাইন এবং সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া যায়। ভারত ও লন্ডনে এই সেন্টার আছে। ভারত বা লন্ডনে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া যায়। আমি অনলাইনে প্রথম পার্টের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম। পার্ট-২ অনলাইনে দিতে না পারলে ভারতে গিয়ে অংশ নেব। আর পার্ট-৩ লন্ডনে গিয়ে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা আছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন, শিশুরোগ তত্ত্বে বিশেষায়িত জ্ঞান অর্জন করে উন্নত সেবা প্রদান করতে পারি।
নাজমিনের বাবা রফিক উদ্দিন ২০২২ সালের মার্চে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুকালে মেয়ে যেন বড় ডাক্তার হয় সেই আশা ব্যক্ত করেন তিনি। সেই থেকে নাজমিন চাকরির পাশাপাশি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আস্তে আস্তে স্বপ্নপূরণের দিকে যাচ্ছে—এতেই যেন তার আনন্দ।